অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে (বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন তথা রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষে গোটা দেশে বিজেপি আরও এক বার ‘রামমন্দির আবেগ’ ঝালিয়ে নিতে সচেষ্ট। পিছিয়ে নেই বাংলাও। রাজ্যের দুই প্রান্তে বঙ্গ বিজেপির দুই সর্বোচ্চ নেতার আয়োজন ছিল। নন্দীগ্রামে শোভাযাত্রা করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বালুরঘাটে এক লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং আত্রেয়ী-আরতির আয়োজনে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে বুধবার দুপুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে শোভাযাত্রা করেন শুভেন্দু। ঠাকুরচক থেকে শুরু হয়ে রেয়াপাড়া শিবমন্দির পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শুভেন্দুদের পদযাত্রা শেষ হয়। রামলালার ছবি সম্বলিত অজস্র গেরুয়া পতাকায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মিছিল। রামলালার মূর্তির সামনে আরতিও করেন শুভেন্দু। মিছিল শেষ হওয়ার পরে রেয়াপাড়া শিবমন্দির সংলগ্ন মাঠে ভাষণ দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘সোনাচূড়া মৌজায় আড়াই বিঘা জমির উপর তৈরি হবে রামলালার মন্দির। ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। এক বছরের মধ্যে এই মন্দির উদ্বোধন।’’ অর্থাৎ, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের মধ্যেই ওই মন্দিরের উদ্বোধনের দিন স্থির করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্তের লোকসভা কেন্দ্র বালুরঘাটে এ বছরের আয়োজন গত বছরের চেয়েও ‘জোরদার’। তেমনই দাবি টিম সুকান্তের। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারিও সুকান্ত নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ক্ষেত্রে প্রদীপ জ্বালানোর আয়োজন করেছিলেন। সুকান্তর কথায়, ‘‘রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সেই দিনে বালুরঘাটবাসী নিজের হাতে প্রদীপ জ্বালাতে আত্রেয়ী নদীর ঘাটে যে সংখ্যায় জড়ো হয়েছিলেন, তা আমাদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তখনই স্থির করেছিলাম, বর্ষপূর্তিও জাঁকজমক করেই পালন করব। এ বছর আত্রেয়ীর ঘাটে এক লক্ষ মাটির প্রদীপ জ্বলছে।’’ দিন কয়েক আগেই তোরণ, আলোর মালা, রামলালার ৫০ ফুটের ফ্লেক্স, আরতির মঞ্চ, প্রদীপ জ্বালানোর অস্থায়ী ধাপে সাজিয়ে ফেলা হয়েছে আত্রেয়ীর ঘাট। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানেই বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের মূল আয়োজন। গঙ্গা আরতির ধাঁচে আত্রেয়ী-আরতির আয়োজন নিয়েই বেশি উৎসাহী টিম সুকান্ত। আরতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ছ’জন পুরোহিতকে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং আরতির পর এক ঘণ্টার আতশবাজি প্রদর্শনী। তার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।