Abhishek Banerjee-Suvendu Adhikari

অভিষেকের ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বসতে চাইলেন না শুভেন্দু, কারণ জানালেন নিজেই

শুভেন্দুর যুক্তি, নন্দীগ্রামে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে আসার পরে অভিষেকের সঙ্গে বসা অর্থহীন। তৃণমূলের কটাক্ষ, শুভেন্দুর কাছে জবাব নেই বলেই তিনি বিতর্ক এড়িয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৯
Suvendu Adhikari refused to face Abhishek Banerjee

(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী(ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দু’দিনের তল্লাশির পরে ইডি-র বিজ্ঞপ্তিতে নাম ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বিবৃতিকে মাঝে রেখে বুধবার সমাজমাধ্যমে দফায় দফায় যুদ্ধ হয়েছিল দু’জনের। কিন্তু অভিষেকের ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বসতে চাইলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর যুক্তি, নন্দীগ্রামে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে আসার পরে অভিষেকের সঙ্গে বসা অর্থহীন। তৃণমূলের কটাক্ষ, শুভেন্দুর কাছে জবাব নেই বলেই তিনি বিতর্ক এড়িয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement

শুভেন্দু বুধবার তাঁকে খোঁচা দেওয়ার পরে অভিষেক পাল্টা নারদ-কাণ্ডে টাকা নেওয়ার ছবি দিয়ে বিরোধী দলনেতারে আক্রমণ করেছিলেন। দফায় দফায় চাপান-উতোরের পরে শুভেন্দুর উদ্দেশে অভিষেকের আহ্বান ছিল, বিরোধী দলনেতা স্থান ও কাল জানিয়ে দিলে এই সব নিয়ে মুখোমুখি বিতর্ক হতে পারে। সেই প্রসঙ্গেই বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর দাবি, ‘‘আমার তোলা প্রশ্নের জবাব উনি (অভিষেক) দিতে পারেননি। অন্য দিকে চলে গিয়েছেন। ওঁর সঙ্গে বসতে যাব কেন? ওঁর যিনি আলোকবর্তিকা, যাঁর বলে উনি বলীয়ান, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বড় যুদ্ধে বসা হয়ে গিয়েছে। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন।’’ এই সূত্রেই শুভেন্দু ফের দাবি করছেন, নারদ-কাণ্ড দুর্নীতি নয়, ‘ষড়যন্ত্র’ ছিল (কনস্পিরেসি, নট করাপশন)। তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংহের সহযোগিতায় দলেরই ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল। শুভেন্দুর দাবি, তিনি নিজের জন্য কোনও টাকা নেননি।

রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য় কটাক্ষ করেছেন, ‘‘অভিষেক যে প্রশ্ন করছেন, তার জবাব ওঁর (শুভেন্দু) কাছে নেই। তাই এ সব বলছেন। তা না হলে শয়নে-স্বপনে-ভাষণে যে অভিষেকের কথা ভাবেন, তাঁর সঙ্গে বিতর্কে বসতেন!’’

‘লিপ্‌স অ্যান্ড বাফউন্ডস’ সংস্থায় ইডি-র তল্লাশি প্রসঙ্গে এ দিনই পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘ইডি সব বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করেছে। শিক্ষা নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার টাকা কালীঘাটে পিসি আর ভাইপোর খাতায় জমা আছে। সেই টাকা বিদেশি মডেলদের খাতা ভাড়া নিয়ে পাচার করেছে। সব হদিস পাওয়া যাচ্ছে। ইডি, সিবিআইকে আমরা বলছি, তোমরা বাংলার পুলিশের মতো হয়ো না। ওরা একটা তালিকা দিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement