Suvendu Adhikari

‘সুর বদল’ শুভেন্দুর, দিলীপের মুখে ‘বড় কিছু’

‘ডিসেম্বর ভবিতব্য’ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘বাংলার জন্য বড় কিছু ঘটা প্রয়োজন। যখন বড় কিছু ঘটে, আগে থেকে বলে কয়ে ঘটে না! হঠাৎ ঘটে। আর তার একটা প্রভাব পড়ে।’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও তমলুক শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৩১
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।

বেশ কিছু দিন ধরে তিনি বলে এসেছেন ‘বড় চোর’ ধরা পড়বে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকায় গিয়ে এ মাসেই লাড্ডু বিলি করে বিজয় উৎসব করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি, বৃহস্পতিবার ১২, ১৪ ও ২১ তিনটি তারিখ উল্লেখ করে বলেছিলেন, “অপেক্ষা করুন আর দেখতে থাকুন!” কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার বদলে গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুর। তিনি এ দিন যা বললেন, তার মূল কথা হল, সরকার মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় যদি হেরে যায়, তা হলে বিপুল অঙ্কের টাকা ডিএ বাবদ দিতে হবে। তখন তারা নিজেরাই সরকার ছেড়ে পালাবে!

‘ডিসেম্বর ভবিতব্য’ নিয়ে এ দিনই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘বাংলার জন্য বড় কিছু ঘটা প্রয়োজন। যখন বড় কিছু ঘটে, আগে থেকে বলে কয়ে ঘটে না! হঠাৎ ঘটে। আর তার একটা প্রভাব পড়ে।’’ এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এত দিন শুভেন্দু ভাব দেখাত, ও সব জানে! দিলীপ-সুকান্ত কিচ্ছু জানে না। এখন বাকিরাও প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, তাঁরাও সব জানেন। এটা ওদের নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব।’’

Advertisement

তমলুকের সভা থেকে এ দিন পাচার নিয়ে ফের এক বার সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘গরু পাচার অনেকটা বন্ধ হয়েছে। তার পরেও ঝাড়খণ্ড থেকে তেলের ট্যাঙ্কারে, দুধের ট্যাঙ্কারে গরু ঢুকিয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে চালাচ্ছে। নীচের তলার পুলিশের ছেলে-মেয়েরা খারাপ নয়। আপনি এসআই পর্যন্ত খারাপ পাবেন না। তার উপরে যা আছে, সব পা চাটতে ব্যস্ত সারাদিন!’’ পাশাপাশি, তিনি এক পুলিশ সুপারের নাম করে তাঁর বিরুদ্ধে গরু পাচারে সহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। সেই পুলিশ সুপার অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়েও চড়া সুর শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার গলায়। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার পথে ভুয়ো শিক্ষকদের মিছিল হবে৷ স্ত্রী-পরিবার নিয়ে তাঁরা রাস্তায় নামবেন টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি চলে যাওয়ার জন্য। নেতাদের কাছে টাকা ফেরত চাইবেন৷ অন্য দিকে যাঁরা সত্যিই চাকরি পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু পাননি, তাঁরাও মিছিল করবেন। সব মিছিল যাবে কালীঘাটের দিকে৷"

কুণালের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘মানসিক অবসাদ থেকে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। আগে ডিসেম্বরের কথা বলেছিলেন, সেটা আগে হোক! পরপর কর্মসূচি ঘোষণা করে কী হবে? পূর্ব মেদিনীপুরে ওঁর পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। দলের মধ্যে দিলীপ-সুকান্তেরা ওঁকে মানে না। এ সব থেকে নজর ঘোরাতে গরম গরম কথা বলছেন।”

আরও পড়ুন
Advertisement