অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হওয়া তদন্তে ইডির পরিধি বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় ইডি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালত ইডির আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দিল, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রুজিরা। সেই মামলায় গত ১৭ অক্টোবর ইডি এবং সংবাদমাধ্যমের পরিধি বেঁধে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ইডি এবং সংবাদমাধ্যমকে নির্দেশিকা দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। আদালতের অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশে বলা হয়, যে কোনও ক্ষেত্রে তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্তের সময় কোনও লাইভ স্ট্রিমিং (সরাসরি সম্প্রচার) করা যাবে না। তল্লাশি অভিযানের সময় আগে থেকে তা সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে কোথাও তল্লাশি অভিযান চালাতে পারবে না ইডি। এই সংক্রান্ত কোনও খবর পরিবেশন করলে অভিযুক্তের ছবি ব্যবহার করতে পারবে না সংবাদমাধ্যম। চার্জশিট জমা পড়ার আগে কোনও ছবি প্রকাশ করা যাবে না।
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যায় ইডি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। ইডির তরফে আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারলে এসভি রাজু। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যে হেতু হাই কোর্ট একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে, তাই এতে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না।
অভিষেকের সংস্থা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সূত্রে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রুজিরাকেও। সেই তদন্তের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক-পত্নী। এর আগে, এই মামলায় বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, আদালত কী ভাবে সংবাদমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে? তবে রুজিরার আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, সংবাদমাধ্যম এমন ভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে, যাতে তাঁর এবং পরিবারের সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, কোনও বিষয়ে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যম কার্যত বিচার করে ফেলছে। এর পরেই ইডি এবং সংবাদমাধ্যমের পরিধি বেঁধে দেয় হাই কোর্ট। যা সুপ্রিম কোর্টেও বহাল রইল।