HS Examination 2024

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল হাতে ধরা পড়লেন পড়ুয়ারা, বাতিল তিন জনের পরীক্ষা

উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ায় একটি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন এক পড়ুয়ার কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। অভিযোগ, মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ঢুকেছিলেন তিনি। পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৫
Student caught with mobile phone in North 24 Pargana school during Higher Secondary Examination

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

শুক্রবার থেকে রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা হয়েছে। তবে বেলঘরিয়ার একটি স্কুলে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছিলেন এক পরীক্ষার্থী। তাঁর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ বারাসতের দুই ছাত্রের বিরুদ্ধেও। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার কারণে তাঁদেরও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ায় একটি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন এক পড়ুয়ার কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ঢুকেছিলেন তিনি। পরীক্ষকদের নজর এড়িয়ে মোবাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু ধরা পড়ে যান। তাঁর মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়। বাতিল করা হয়েছে তাঁর পরীক্ষা। দক্ষিণ বারাসতের দুই ছাত্রেরও একই কারণে পরীক্ষা বাতিল হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রে। আঁটসাঁট নিরাপত্তার মাঝেই পরীক্ষা হয়েছে। কলকাতার সব স্কুলেই সংসদের নির্ধারিত নিয়ম পালন করা হয়েছে। পৌনে ১০টায় কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ১০টায় পেয়েছেন প্রশ্নপত্র। দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ হয়েছে।

এ বার প্রায় ৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে বসছেন। রাজ্যের নানা প্রান্তে মোট ১৭৬টি সংবেদনশীল কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই তালিকায় রয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক কেন্দ্র। তবে কলকাতার কোনও কেন্দ্রকে এ বার সংবেদনশীল তকমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষা শুরুর সকাল থেকেই সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। প্রথমে তাঁরা যান বাঙুরের একটি স্কুলে। সেখান থেকে দমদমের একাধিক স্কুলের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন তাঁরা।

প্রশ্নফাঁস রুখতে মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও বিশেষ ‘ফাঁদ’ পেতেছিল সংসদ। প্রতিটি প্রশ্নপত্রে রাখা হয়েছে ‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’। প্রতি বিষয়ের প্রত্যেক প্রশ্নে ওই নম্বর থাকছে। রাজ্যের কোন প্রান্তে কোন পরীক্ষার্থীর কাছে কোন নম্বরের প্রশ্নপত্র যাচ্ছে, সংসদ তার হিসাব রাখছে। কেউ যদি ওই প্রশ্নের ছবি তুলে ছড়িয়ে দিতে চান, নম্বর খুঁজে তা সহজেই ধরে ফেলতে পারবে সংসদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কিউআর কোডের ব্যবস্থা ছিল এই প্রশ্ন ফাঁস রুখতেই। বেশ কয়েক জন তাতে ধরাও পড়েছেন। কিউআর কোডে সাফল্য পেয়েছে পর্ষদ।

আরও পড়ুন
Advertisement