আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। —ফাইল চিত্র।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে তৈরি হওয়া স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি মুক্তি আপতত বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টে এমনই আবেদন করলেন আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের কাছে তাঁর আর্জি, ছবি মুক্তি আটকাতে আইনি পদক্ষেপ করা হোক।
সোমবার আরজি কর মামলার পঞ্চম শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই শুনানিতেই উঠল আরজি কর নিয়ে ছবির বিষয়টি। বৃন্দার আবেদনের প্রেক্ষিতে যদিও প্রধান বিচারপতি জানান, ওই ছবিটি বন্ধের নির্দেশ দিতে হলে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। তখন বৃন্দা আবেদন জানান, সমাজমাধ্যমে নজরদারি চালানোর জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হোক। নির্যাতিতার ছবি-সহ তথ্য দেখলে তা মুছে ফেলার জন্য এই নিয়োগের আর্জি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আরজি কর ঘটনার পটভূমিকায় একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যে একটি ছবি তৈরি নিয়ে দিন কয়েক ধরেই বিতর্ক চলছে। সেই ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রাজন্যা হালদার। ছবির প্রযোজনা করেছেন তাঁর বন্ধু প্রান্তিক চক্রবর্তী। দু’জনেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। ছবির নাম ‘আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প’। ছবির যে পোস্টার সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেও লেখা রয়েছে এই ছবি নির্মিত হয়েছে ‘আরজি কর ঘটনার পটভূমিতে’। কিন্তু এমন একটি ‘স্পর্শকাতর’ বিষয় নিয়ে ছবি তৈরিকে অনুমোদন করেনি তৃণমূল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রান্তিক এবং রাজন্যাকে সংগঠনের পদ থেকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হল।
সাসপেন্ড হওয়ার পরেও রাজন্যা অনড় ছিল ছবি মুক্তির ব্যাপারে। তবে সোমবার রাজন্যা এবং প্রান্তিক, তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে ইমেল করে জানিয়ে দেন, তাঁরা ছবি মুক্তি পিছিয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা ইমেলে লেখেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে, বিষয়টির সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে এবং বিচারবিভাগীর প্রক্রিয়ার অংশীদার হিসাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই মুহূর্তে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি প্রকাশ করব না। আমরা এই সিনেমাটির মুক্তি স্থগিত রাখছি।”