মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
রাজ্য প্রশাসনে বড়সড় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক দফতরের সচিব পর্যায়ে পরিবর্তন করল নবান্ন। কাউকে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে সরানো হল। কাউকে আবার আগের দায়িত্বে বহাল রেখে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যাকে লোকসভা ভোট পরবর্তী পর্যায়ে প্রশাসনিক ঝাঁকুনি হিসাবেই দেখছেন রাজ্য সরকারের অনেকে।
শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব ছিলেন মণীশ জৈন। তাঁকে শিক্ষা থেকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব করা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের নতুন প্রধান সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ কুমারকে। বিনোদ আগে ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব। সেই দফতরের নতুন সচিব করা হয়েছে গুলাম আলি আনসারিকে। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময় থেকে মণীশ শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে দায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে আইএএস পিবি সেলিমের। আগেকার দফতরগুলির সঙ্গে তাঁকে এ বার সামলাতে হবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের কাজও। সেলিম মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সমন্বয় সচিব। তা ছাড়া রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অধিকর্তা। সেই দায়িত্বের পাশাপাশি আরও নতুন দু’টি দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা জিটিএ-র সচিবও বদল করা হয়েছে। নতুন জিটিএ সচিব করা হয়েছে বিজয় ভারতীকে।
একাধিক দফতরে নতুন বিশেষ সচিবও নিয়োগ করেছে নবান্ন। খাদ্য দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে অমিত রায়চৌধুরীকে। পাশাপাশি, উচ্চশিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিবের দায়িত্বও সামলাতে হবে তাঁকে। কারিগরি শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিবের দায়িত্বে আনা হয়েছে জয়সী দাশগুপ্তকে। উচ্চশিক্ষা দফতর-সহ আরও একটি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিলাদিত্য বসু রায়কে। রাজ্য গেজেটার্সের বিশেষ সচিব (সিনিয়র) করা হয়েছে সৌম্য পুরকাইতকে। গত এক মাস ধরেই নবান্নের অলিন্দে গুঞ্জন ছিল, প্রশাসনে বেশ কিছু রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ২১ জুলাই মিটতে সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বুধবারই উল্লেখযোগ্য দফতরে সচিব পর্যায়ে রদবদল সেরে ফেললেন মমতা।