ফাইল চিত্র।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আবেদন করল রাজ্য সরকার। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বৃহত্তর বেঞ্চে এই আবেদন জানানো হয়েছে। ২ জুলাইয়ের নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
আদালতে রাজ্যের তরফে আবেদনে বলা হয়েছে, ২ জুলাই যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা একতরফা। রাজ্যের কোনও বক্তব্য না জেনেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সব রকমের সহযোগিতা করেছে রাজ্য। কোনও কিছুই গোপন রাখা হয়নি কমিশনের কাছে।
রাজ্য আরও জানিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করার সুযোগই পায়নি রাজ্য সরকার। এ বার নিজেদের বক্তব্য জানাতে চায় রাজ্য। তাই তার আগে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাচ্ছে তারা। চলতি সপ্তাহেই এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে গত ২ জুলাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে যাঁদের রেশন কার্ড কেড়ে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের রেশনের ব্যবস্থাও করতে হবে সরকারকে। এই সংক্রান্ত মামলায় যতগুলি অভিযোগ ছিল সব ক’টা রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসনকে। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করতে বলা হয়। আদালত আরও জানায়, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ সংক্রান্ত যত তথ্য আছে সেগুলি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে মুখ্যসচিবকে।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে গত দু’মাস ধরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র কারণে তাদের অনেক কর্মীকে হারাতে হয়েছে। অনেকে ঘরছাড়া। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন। সেই মামলায় এ বার রাজ্যের তরফে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হল।