SSC recruitment scam

চন্দনকে জেরা করে মোট ১৬ কোটির হদিস! চাকরি পাইয়ে দিয়েই এই বিপুল অর্থ, দাবি সিবিআই সূত্রে

নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম থাকা চন্দন প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় ছিলেন। সেই সময়েই চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটি টাকার হদিস পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৯
 total transaction of 16 crores found after questioning Chandan Mondal, claims CBI source.

সিবিআইয়ের হাতে ধৃত চন্দন মণ্ডল। ফাইল চিত্র ।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এল ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস। অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনকে জেরা করার সময় এমনই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চন্দনকে জেরা করে প্রায় ১৬ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে। আর সেই টাকা নাকি তোলা হয়েছিল অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে।

নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম থাকা চন্দন প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় ছিলেন। সেই সময়েই চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটি টাকার হদিস পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

সেই তদন্ত চলাকালীন শুক্রবার চন্দনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর পর চন্দনকে হেফাজতে পেয়ে জেরা করে এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও ১০ কোটির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

মঙ্গলবার চন্দন এবং আর এক অভিযুক্ত সুব্রত সামন্ত রায়কে সিবিআই হেফাজত থেকে আদালতে তোলা হয়েছে। চন্দনের আইনজীবী এসে না পৌঁছনোয় আদালতে সুব্রতর শুনানি শুরু হয়। সুব্রতর আইনজীবী বলেন, ‘‘অগস্ট মাস থেকে সুব্রতকে ১১ বার তলব করেছে সিবিআই এবং তিনি প্রতি বারই হাজিরা দিয়েছেন। চার্জশিটে সুব্রতর নাম নেই। তা-ও তদন্তে সকল প্রকারের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সুব্রত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত নন।’’ আদালতে সুব্রতর জামিনের আবেদনও জানান তাঁর আইনজীবী।

তবে আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, সুব্রত এক জন মিডলম্যন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে বা টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তিনি চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সিবিআই আইনজীবী আরও জানান, চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে প্রচুর টাকা তোলা হয়েছিল। তাই এখন যদি অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয় তা হলে তদন্তের ক্ষতি পারে বলেও তাঁর দাবি।

বিচারকের পর্যবেক্ষণ, সিবিআইয়ের তরফে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে, কেস ডায়েরিতে পরিষ্কার ভাবে তার প্রমাণ দিতে হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সকালে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন চন্দন। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement