Group D

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ, গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন আপাতত ফেরাতে হচ্ছে না

কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ বলেছিল, ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতনের অর্থও ফেরাতে হবে। সেই নির্দেশেই স্থগিতাদেশ জারি করল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৪
Justice Abhijit Gangopadhyay single bench gave order previously in group d case

১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি তাঁদের বেতনের অর্থ ফেরাতেও বলেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে বেঞ্চ কিছু বলেনি।

ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি তাঁদের বেতনের অর্থ ফেরাতেও বলেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চ সেই বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তবে একক বেঞ্চের সম্পূর্ণ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। অর্থাৎ, চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল থাকছে।

Advertisement

একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা যখন শ্রম দিয়েছেন, তখন বেতন কেন ফেরাবেন? বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, বেতন ফেরত নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই স্থগিতাদেশ। ৩ মার্চ -এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।

গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।

এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি এসএসসিকে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি ভাবে চাকরিপ্রাপক ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন এত দিন ধরে চাকরি করে আয় করা বেতন ফেরত দেওয়ারও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসিকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ১,৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল।

বিচারপতির নির্দেশ মতো ওই দিনই চাকরি বাতিল হয় ১৯১১ জনের। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা। বুধবার ওই মামলায় বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করে নতুন আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশেরই শুনানি ছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

আরও পড়ুন
Advertisement