বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে সরব হয়েছিল বিজেপি। ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় তাঁর নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে পরিষদীয় মন্ত্রী জানালেন, তিনি তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করছেন ঠিকই, তবে তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছিল। সোমবার বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা জানান যে, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী দিনে তাঁরা বড়সড় আন্দোলন করবেন। মনোজের এই কথার কিছু সময় পরই নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন শোভনদেব।
গত মাসে বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় শোভনদেব গোর্খাদের বহিরাগত এবং আদিবাসীদের পরিযায়ী বলে মন্তব্য করেছিলেন। এমনটাই অভিযোগ করেছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। যদিও সেই সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন মন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘আমরা বিধানসভার অধিবেশনে বর্ষীয়ান রাজনীতিক শোভনদেবের কথায় আহত হয়েছি। কারণ তিনি গোর্খাদের বহিরাগত বলেছেন। সঙ্গে তিনি আদিবাসীদের পরিযায়ী বলেছেন।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমরা মনে করি গোর্খারা কোনও ভাবেই বহিরাগত নন। আর আদিবাসীরাও পরিযায়ী নন, তাঁরা মূলবাসী। তাই মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা করছি।’’ যদিও মন্ত্রী শোভনদেবের পাল্টা জবাব ছিল, ‘‘আমি কখনওই গোর্খাদের বহিরাগত কিংবা আদিবাসীদের পরিযায়ী বলিনি। কয়েকটি ইতিহাস বইয়ের ঘটনার উল্লেখ করে গোর্খাদের বীর বলেছি। আদিবাসীদের কথাও বলেছি।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমার মন্তব্যকে বিকৃত করে রাজনীতি করা হচ্ছে। কেউ যদি আমার কথাকে বিকৃত করে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেন তা নিন্দাজনক।’’ এই নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। সোমবার বিধানসভায় নিজেই সেই বিতর্কে ইতি টানলেন শোভনদেব।
বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে অনশনে বসেছিলেন বিনয় তামাং, হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ডরা। সেই সঙ্গে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে পরে সেই বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠেন।