পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
জবানবন্দি আগেই দিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ বার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘রাজসাক্ষী’ হচ্ছেন তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এই মামলায় পার্থের সঙ্গে অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন তিনিও। সূত্রের খবর, ‘রাজসাক্ষী’ হওয়ার পর তিনি আর অভিযুক্ত থাকবেন না।
আমেরিকা প্রবাসী কল্যাণময় এখন কলকাতায়। গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতে পেশ করতে চাইছেন বলে আইনজীবী মারফত আবেদন করেছিলেন কল্যাণময়। বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুরও করেন। তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতকে দ্রুত কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন।
নিয়োগ মামলার পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি)। কী ভাবে, কোন সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ হয়েছে, ওই চার্জশিটে তা উল্লেখ করা হয়েছে। কল্যাণময়কে এই চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। ইডি সূত্রের দাবি, পার্থের জামাইকে একাধিক বার জেরা করে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে নগদে টাকা দিতেন পার্থ। সেই টাকাই আবার ফিরে আসত তাঁর স্ত্রীর নামে তৈরি ‘বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এ। আর এ ভাবেই ওই ট্রাস্ট হয়ে উঠেছিল দুর্নীতির অন্যতম ‘আঁতুড়ঘর’। নিয়োগ মামলার চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে ইডি।
ইডির আরও দাবি, এ ভাবেই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা পার্থের প্রয়াত স্ত্রীর নামে ট্রাস্ট এবং কল্যাণময়ের নানা সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল। কল্যাণময় এবং তাঁর সংস্থার নামে অভিযোগও দায়ের হয়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ এখন ইডি-র মামলায় জামিন পেলেও সিবিআইয়ের মামলায় জেলবন্দি।