Bengal Police STF

পোস্ট অফিসের পার্সেলে চলছে হেরোইন পাচার! মুর্শিদাবাদে মাদক পাচারের অভিনবত্বে হতবাক পুলিশ

এসটিএফ সূত্রে খবর, প্রথমে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ধৃত শফি ইসলাম শেখকে জেরা করে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ডাক বিভাগের পার্সেল পরিষেবার মাধ্যমে চলত মাদক সরবরাহ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৮
representative image

— প্রতীকী চিত্র।

ডাক বিভাগের বুকিং পার্সেলে করে ডেলিভারি দেওয়া হত মাদকের! উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে হাওড়া ও মুর্শিদাবাদে চাহিদা মত মাদক পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হত ডাকঘরের পার্সেল পরিষেবা। আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। ধৃতদের জেরা করেই এই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি, উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকার মাদক কয়েক কেজি নিষিদ্ধ হেরোইন।

Advertisement

এসটিএফ সূত্রে খবর, প্রথমে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে শফি ইসলাম শেখ এবং তার পর মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আরও দু’জন — গুড্ডু শেখ ও সুরজ শেখকে গ্রেফতার করা হয়। জেরা পর্বে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। মাদক পাচারের এক অভিনব পন্থার হদিশ পান গোয়েন্দারা। শফিকে জেরা করে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ডাক বিভাগের পার্সেল পরিষেবার মাধ্যমেই চলত মাদক সরবরাহ।

এসটিএফের অফিসাররা জানতে পেরেছেন, এ রকম ভাবেই শফির দুই সাগরেদ গুড্ডু ও সুরজের কাছে গিয়েছিল মাদকের পার্সেল। একটি পার্সেল গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ডাকঘরে, অন্যটি গিয়েছিল নবগ্রাম পোস্ট অফিসে। শফির থেকে পাওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতে এসটিএফ বহরমপুরের কাশিমবাজার এলাকায় হানা দেয় এবং সেই অভিযানেই ধরা পড়েন গুড্ডু ও সুরজ।

অন্য দিকে, এসটিএফ এ বার সাফল্য পেল জাল ওষুধের পর্দাফাঁসেও। হুগলির মগরায় অভিযান চালিয়ে একটি জাল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান পান এসটিএফের গোয়েন্দারা। অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে অর্ধেক তৈরি হওয়া বিভিন্ন জাল ওষুধ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক বহুজাতিক সংস্থার জাল স্টিকারও পাওয়া গিয়েছে। গোটা কারখানা সিল করে দিয়েছে এসটিএফ। শুরু হয়েছে তদন্তও।

আরও পড়ুন
Advertisement