রাজ্যের সদর দফতর নবান্নে প্রবেশের ক্ষেত্রে চালু হতে চলেছে বেশ কিছু কড়া নিয়ম। —ফাইল চিত্র।
১৩ ডিসেম্বর সংসদে জঙ্গিহানার ২২তম বর্ষপূর্তিতে বড়সড় নিরাপত্তার গলদ ধরা পড়েছে নতুন সংসদ ভবনে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যের সদর দফতর নবান্নে প্রবেশের ক্ষেত্রে চালু হতে চলেছে বেশ কিছু কড়া নিয়ম, রাজ্য প্রশাসন সূত্রে এমনটাই খবর। সংসদের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে পরেই ডিরেক্টর-সিকিউরিটি পীযূষ পাণ্ডের উপস্থিতিতে কলকাতা পুলিশকর্তারা জরুরি বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নবান্নের সব প্রবেশপথে রাখা হবে ‘ফেস রেকগনিশন ক্যামেরা’। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের তরফে কলকাতা পুলিশকে বলা হয়েছে, সব গেটে নজরদারি রাখতে। যে গেট দিয়ে ‘ভিজিটর এন্ট্রি’, সেখানেও নিরাপত্তারক্ষীদের আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। সঙ্গে নবান্নের যে বা যাঁরা ভিআইপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবেন, তাঁদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হবে। দিনভর নজরদারি থাকবে পার্কিং লটের গাড়িগুলিতেও। একই সঙ্গে গোয়েন্দাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংসদে অযাচিত হানার ঘটনার পর দেশের সাংবিধানিক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পক্ষে দাবি উঠতে শুরু করেছে। তাই রাজ্য পুলিশ চায় রাজ্যের সদর দফতর-সহ যে কোনও স্থানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে। নবান্নের পাশাপাশি বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়েও কলকাতা পুলিশে তৎপরতা বেড়েছে। গত সপ্তাহেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছে কলকাতা পুলিশ। বিধানসভার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্পিকার নিজেই বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে বিধানসভার বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাই সংসদে হামলার ঘটনার পর থেকে বিধানসভা, কলকাতা হাইকোর্ট, ইডেন গার্ডেন্স, আকাশবাণী ভবন এবং রাজভবন চত্বর-সহ নব মহাকরণ জুড়ে বার বার পুলিশি টহলদারি চলেছে বলেই লালবাজার সূত্রে খবর। সামনের বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটের ভিড়কে কেন্দ্র করে যাতে এই সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তার অভাব দেখা না যায়, তাই এখন থেকেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।