Nabanna Abhijan

নবান্ন অভিযানে যাওয়ায় এফআইআর! সদস্যদের রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ

সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্য ভাস্কর ঘোষ এবং আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার কারণেই এই এফআইআর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৭
গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ।

গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ। ছবি: পিটিআই।

‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। তাদের কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রেফতারির আশঙ্কায় তাই আগেভাগে রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল যৌথমঞ্চ। সোমবার তাদের তরফে এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। সোমবারই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

Advertisement

সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্য ভাস্কর ঘোষ এবং আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার কারণেই এই এফআইআর। যৌথমঞ্চের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, এফআইআরের ভিত্তিতে ওই সদস্যদের যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই অগ্রিম রক্ষাকবচের আবেদন জানানো হয়েছে।

এর আগে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে নবান্ন অভিযানে অশান্তির অভিযোগের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ। আদালত প্রশ্ন করেছিল, নবান্ন অভিযানে সায়নকে সরাসরি অশান্তি করতে, কারও উপর হামলা করতে দেখা গিয়েছে কি না। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, কোনও অশান্তির সঙ্গেই সায়ন যুক্ত ছিলেন না। কর্মসূচির ডাক দেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পর রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, সায়নেরা যে কর্মসূচির আয়োজন করেছেন, সেখানে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। আয়োজক হিসাবে সেই অশান্তির দায় কী ভাবে এড়াতে পারেন সায়ন? আদালত দু’পক্ষের যুক্তি শুনে সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। শনিবার মুক্তি পান সায়ন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ অগস্ট আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠন। ওই অভিযান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছিল। রাজ্য এর বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ, পুলিশের কাছ থেকে এই কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি। নবান্নের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কর্মসূচির অনুমতি সাধারণত দেওয়া হয় না। অন্য কোথাও কর্মসূচির আয়োজন করতে বলা হয়েছিল পুলিশের তরফে। কিন্তু আদালত জানায়, নবান্ন অভিযানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। এর পর গত মঙ্গলবার একাধিক মিছিল নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। পুলিশি বাধার মুখে অশান্তি হয়। কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। মিছিল থেকে পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সেই অভিযানে থাকার কারণে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্যেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement