Sandip Ghosh

১৩ দিনে ১০০ ঘণ্টারও বেশি জেরা! ১৩তম দিনে আবার সিবিআই দফতরে হাজির হলেন সন্দীপ ঘোষ

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তেরও দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই। দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ১১:৩৪
সন্দীপ ঘোষ।

সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

আরজি করের ঘটনায় গত ১৫ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্ট দায়িত্ব দিয়েছে সিবিআইকে। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ১৪ দিন। এই ১৪ দিনে ১২ বার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে ১০০ ঘণ্টারও বেশি জেরা করা হয়েছে তাঁকে। এর পরে বৃহস্পতিবার সন্দীপ হাজির হলেন সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে। বৃহস্পতিবারও জেরা করা হবে তাঁকে।

Advertisement

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছে সিবিআই। দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে। প্রথম মামলাটিতে প্রশাসক হিসাবে ঘটনার দায় বর্তেছে তাঁর উপর। দ্বিতীয় মামলায় সরাসরিই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দীপের প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছেন সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডার নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। সম্প্রতি তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। তার পর থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের পদত্যাগ চেয়ে সরব হন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। সন্দীপকে তার পরে সরিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কিন্তু সেই নিয়োগের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকেও সন্দীপকে সরিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। এর পরে আদালত আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। গত ১৬ অগস্ট থেকে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রতি দিন সকালেই সন্দীপ সিজিও কমপ্লেক্সে যাচ্ছেন এবং জেরা শেষে বাড়ি ফিরছেন রাতে।

আরও পড়ুন
Advertisement