আরজি কর-কাণ্ডে প্রায় ৯০০ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে আরও তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, নতুন তথ্য পেতে হাসপাতালের প্রায় ৯০০ ঘণ্টার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের মামলায় সিবিআই এই ফুটেজকেই ‘হাতিয়ার’ করতে চাইছে, আদালতে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁদের আইনজীবীরা। তাঁরা সওয়াল করে জানিয়েছেন, সন্দীপ এবং অভিজিতের গ্রেফতারির ৮৭ দিন পরেও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া উচিত। যদিও সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দু’জনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
সিবিআই সোমবার আদালতে জানিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে প্রায় ৯০০ ঘণ্টার ফুটেজ তারা খতিয়ে দেখছে। তবে কোথাকার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সিবিআইয়ের দাবি, এই ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ সময়সাপেক্ষ। ঘটনার পরে আট দিনের আটটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এই ফুটেজকেই হাতিয়ার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে এই ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তারা।
দীর্ঘ দিন ধরে সিবিআইয়ের এই ফুটেজ খতিয়ে দেখা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অভিযুক্ত সন্দীপ এবং অভিজিতের আইনজীবী। তাঁরা জামিনের আবেদনও করেছেন। যদিও জামিন মেলেনি। সন্দীপকে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তাঁকে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।