যশোর রোড। —ফাইল চিত্র।
বিমানবন্দর থানা এলাকায় এক মাসে পথ দুর্ঘটনায় ছ’জনের মৃত্যুর পরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। শনিবার সেখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন দমদম পুরসভার প্রতিনিধিরা। মূলত বিমানবন্দর এক নম্বর গেট এলাকায় ভিআইপি রোড এবং যশোর রোডের মোড়ের যান নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে বলে সূত্রের খবর।
ওই জায়গায় উল্টোডাঙা, নাগেরবাজার ও বারাসত— এই তিন অভিমুখে যান চলাচল করে। ঠিক হয়েছে, উল্টোডাঙার দিক থেকে যে সব গাড়ি বিমানবন্দর এক নম্বর গেট হয়ে নাগেরবাজারের দিকে যাবে, সেগুলিকে ওই মোড়ের আগে একটি বাইপাস ধরে পাঠানো হবে। এর ফলে বিমানবন্দর এক নম্বর গেটে যশোর রোড এবং ভিআইপি রোডের মোড়ে যানজট তুলনায় কমবে। এর পাশাপাশি, ওই মোড়ে রাস্তা পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তার বাইরে আর কোনও জায়গা ধরে রাস্তা পারাপার করা যাবে না। সেই বিষয়ে মাইকে ঘোষণা করা-সহ যাবতীয় প্রচারে জোর দেওয়া হবে। তা ছাড়া, দখলমুক্ত করা হবে ফুটপাত।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যশোর রোড ও বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের মোড়ে একটি পরিবারের তিন জনকে পিষে দেয় লরি। গত ১৬ মার্চ মাইকেলনগরের কাছে লরির ধাক্কায় দুই পথচারীর মৃত্যু হয়। ১৭ মার্চ আড়াই নম্বর গেটের কাছে বাইক থেকে পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের।
বিধাননগর পুলিশ সূত্রের খবর, আড়াই নম্বর গেট এলাকায় মোটরবাইকের এবং ভারী গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণের দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। যদিও নিত্যযাত্রী এবং পথচারীদের একাংশের অভিযোগ, নির্দিষ্ট ভাবে বিমানবন্দর এক নম্বর গেটে যশোর রোড ও ভিআইপি রোডের মোড়ে সাবওয়ের প্রয়োজন। সেখানকার অটোস্ট্যান্ডের অবস্থান নিয়েও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দরকার। সেখানে নির্দিষ্ট জায়গায় বাস ও যাত্রীদের দাঁড়ানোর বিষয়টিও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, মূলত বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে।