Recruitment Scam

গ্রুপ সি-র ওএমআর শিটে গরমিলের তালিকায় নাম বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক দুলালের কন্যার

বৃহস্পতিবার এসএসসি ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে তাদের ওয়েবসাইটে যে ৩১১৫ জনের তালিকা দিয়েছে, তার মধ্যে আছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের মেয়ে বৈশাখী বরের নাম।

Advertisement
সীমান্ত মৈত্র   , দিলীপ নস্কর
বাগদা ও ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪০
Dulal Bar.

কংগ্রেস এবং তৃণমূলের হয়ে একাধিক বার ভোটে জিতেছিলেন দুলাল। পরে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিতে এ বারে স্কুলের গ্রুপ সি-র ওএমআর শিটে গরমিলের তালিকায় উঠল বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের মেয়ের নাম।

হাই কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার এসএসসি ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে তাদের ওয়েবসাইটে যে ৩১১৫ জনের তালিকা দিয়েছে, তার মধ্যে আছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক (কংগ্রেস ও তৃণমূল দু’দলের হয়েই একাধিক বার ভোটে জিতেছিলেন। পরে যোগ দেন বিজেপিতে) দুলাল বরের মেয়ে বৈশাখী বরের নাম। সে কথা মানছেন দুলাল। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ রাজ্যের সরকার দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে আছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি গিয়েছে। তার মধ্যে দু’চার জন যোগ্য ছেলেমেয়েরও চাকরি গিয়ে থাকতে পারে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার মেয়ের ক্ষেত্রে কী হয়েছিল, তা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দফতরই বলতে পারবে।’’ বৈশাখীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement

দুলালের পরিবারের বক্তব্য, কয়েক বছর আগে বৈশাখীর বিয়ে হয় নদিয়ায়। বিয়ের পরে ব্যারাকপুরের একটি স্কুলে চাকরি পান তিনি। তৃণমূলের বাগদা অঞ্চল সভাপতি সঞ্জিত সর্দারের অভিযোগ, দুলালের মেয়ের চাকরি চন্দনের মাধ্যমেই হয়েছিল।

বাগদার বাসিন্দা, সিপিএম নেতা মতিয়ার রহমান আবার বলেন, ‘‘দুলালের মেয়ের চাকরিও যে চন্দনের বদান্যতায় হয়েছিল, এটা তারই প্রমাণ।’’ দুলালের পাল্টা দাবি, ব্যক্তিগত ভাবে চন্দনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। পাশের গ্রামের বাসিন্দা, পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে তাঁকে চিনতেন মাত্র।

এসএসসি-র ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, ডায়মন্ড হারবারের অমিত সাহার নামও আছে গরমিলের তালিকায়। উস্তির হটুগঞ্জ গার্লস হাই স্কুল সূত্রের খবর, সেখানে করণিক পদে ‘অমিত সাহা’ নামে এক জন ২০১৬ সাল নাগাদ চাকরিতে যোগ দেন। ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের টাউন সভাপতির নামও অমিত সাহা।

তিনিই ওয়েবসাইটে উল্লিখিত ‘অমিত সাহা’ কি?

এক সময়ে তৃণমূলের এক সর্বোচ্চ স্তরের নেতার ঘনিষ্ঠ অমিতকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি।

হটুগঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আশাপূর্ণা হালদার মাইতি বলেন, ‘‘উনি আজ স্কুলে আসেননি।’’ ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার বলেন, ‘‘বেকার ছেলেমেয়েরা চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করবেই। তবে তা সঠিক পথে কি না, আইন-আদালত তার বিচার করবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement