পুড়ে যাওয়ার আগে যে রকম ছিল হলং বাংলো। —ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যন্ত ইঁদুরেই সিলমোহর দিল রাজ্য সরকার!
জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের পিছনে যে ইঁদুরকুলের কলকাঠি রয়েছে, এমন সন্দেহ প্রথম থেকেই করছিলেন স্থানীয় বনকর্তারা। তাঁদের দাবি ছিল, কাঠের তিনতলা ওই বন বাংলোয় ইঁদুরের দৌরাত্ম্যেই বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়। পরিণতিতে ভস্মীভূত হয়েছে প্রায় ষাট বছরের পুরনো হেরিটেজ বাংলোটি। ছয় সদস্যের কমিটিও প্রায় চার সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধানের পরে ইঁদুরের দিকেই আঙুল তুলেছে। সেই মর্মে রিপোর্টও জমা পড়েছে বলে বন দফতরের খবর।
তদন্ত বলছে— বাংলোটি আদ্যন্ত কাঠের। কাঠের দু’টি স্তরের মধ্যে যে ফাঁক, ইঁদুরের ঘরগেরস্থালি ছিল সেখানেই। বহু বার চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের সেখান থেকে নির্মূল করা যায়নি। জুন মাসে বাংলোটিতে আগুন লাগে। অনুমান, ইঁদুর বিদ্যুতের তার কেটে দেওয়ায় সেখান থেকেই বিপত্তি ঘটেছিল। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। এবং ক্রমে দোতলায় একটি বাতানুকূল যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটার ফলেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্রও।