Rampurhat

Rampurhat Clash: বাতাসে পোড়া গন্ধ, দোসর অজানা আতঙ্ক, সকালেও থমথমে রামপুরহাটের বগটুই

গত ২৪ ঘণ্টার ঘটনাপ্রবাহের জেরে বগটুই গ্রামে প্রবল আশঙ্কা, ফের হামলা হবে না তো? তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিবার বগটুই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। একই ভাবে গ্রাম ছাড়ছে আরও একাধিক পরিবার। সকালেও দেখা গেল চোখের জল ফেলতে ফেলতে গ্রামছাড়া হওয়ার দৃশ্য।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ০৮:৫৬

নিজস্ব চিত্র।

সকালেও থমথমে রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। পুলিশের ভারী বুটের আওয়াজ আর বাতাসে পোড়া গন্ধ। রাতারাতি হাজার ওয়াটের প্রচারের আলোর তলায় এসে পড়েছে অখ্যাত বগটুই। দিনের আলো ফুটলেও, আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি কার্যত জনশূন্য গ্রামের।

মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন বাসিন্দারা। বিগত ২৪ ঘণ্টার ঘটনাপ্রবাহের জেরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ফের হামলা হবে না তো? তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের পরিবার বগটুই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। একই ভাবে গ্রাম ছাড়ছে আরও একাধিক পরিবার।
সোমবার রাতে ভাদু শেখ খুন এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের রেশ এখনও তাজা। বুধবার সকালেই গ্রামে আসার কথা বাম ও বিজেপি-র প্রতিনিধি দলের। এ দিকে গোটা গ্রাম ঘিরে চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামে ঢুকে দুর্গত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কি বিরোধী নেতারা, না কি নতুন করে তৈরি হবে সঙ্ঘাতের বাতাবরণ, এখন সেটাই দেখার।

Advertisement

বুধবার সকালে বগটুই গ্রামে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। যাওয়ার কথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ বাম প্রতিনিধি দলেরও। মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা বীরভূম পৌঁছে গিয়েছেন। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাসে কলকাতা থেকে বগটুইয়ের পথে রওনা দেয় বিধায়ক মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে বিজেপি-র একটি প্রতিনিধি দল। পরে দলে যোগ দিতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আসছে বিজেপি-র পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দলও।
মঙ্গলবার রাতেই বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে সমাধিস্থ করা হয় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হওয়া ৮ জন গ্রামবাসীকে। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলও কাজ শুরু করে দিয়েছে। সকালেই আবার গ্রামে যেতে পারেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে বগটুইয়ে সকাল হল ঠিকই, কিন্তু শান্তি এখনও বহু দূর।

আরও পড়ুন
Advertisement