গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানির মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হল রাজভবনের তরফে। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে লেখা হয়েছে, জনগণের টাকা ব্যয় করে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘প্রক্সি-যুদ্ধ’ করছেন। শুক্রবার সেখানে এ-ও লেখা হয়,‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই নোংরা কৌশলে রাজ্যপাল ভীত নন। তিনি দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।’’ পাশাপাশি, রাজভবনের প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মী যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন, সে সম্পর্কে রাজভবন তাদের বক্তব্য জানিয়েছে।
রাজভবনের দীর্ঘ পোস্টটি লেখা হয়েছে প্রশ্নোত্তর আকারে। যার প্রথমে লেখা, ‘‘প্রাক্তন কর্মচারীর অভিযোগের বিষয়ে রাজভবনের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?’’ জবাবে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ২ মে সাজানো অভিযোগ সামনে আসার পরেই এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি অভ্যন্তরীণ বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়।’’ সেই অন্তর্তদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে যে, অভিযোগকারিণীকে পুলিশ গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি রাজভনের মধ্যে পুলিশ অফিসে প্রায় দু’ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সংবাদপত্রগুলি তার অভিযোগের বিবরণ সম্বলিত একটি ভিডিয়ো প্রকাশের খবর দেয়। ওই ভিডিয়োটি রাজভবনের উত্তর দিকের গেটে পুলিশ অফিসের ভিতরে রেকর্ড করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
FAQ
— Raj Bhavan Kolkata (@BengalGovernor) July 19, 2024
Q.What has been Raj Bhavan’s response to the complaint by a former employee.
Ans.
Immediately after the 02 May, 2024 fabricated allegations came to light an in-house judicial enquiry was conducted by a former Judge. In the preliminary report of the independent in-house…
রাজভবনের দাবি, রিপোর্টে এ-ও উঠে আসে যে সন্দেহ করা হচ্ছে, উত্তর দিকের গেটে অবস্থানরত পুলিশ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনের সঙ্গে অভিযোগকারিণী মিলে রাজ্যপালের সম্পর্কে একটি ‘গল্প’ তৈরি করেছেন। রাজভবনের দাবি, অন্তর্তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশ অভিযুক্তকে প্ররোচিত ও প্রলুব্ধ করেছে। তার পর যে সব ঘটনা ঘটেছে তাতে ‘সহায়তাকারীর’ ভূমিকা পালন করেছে তারা। পাশাপাশি, পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে ভিডিয়োগ্রাফি ফাঁস করার অভিযোগ তুলেছে রাজভবন। তারা এ-ও জানিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ ‘তৈরি’র নেপথ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘এটা একটি প্রক্সি-যুদ্ধ যেখানে, মুখ্যমন্ত্রী উচ্চবেতনভুক্ত আইনজীবীদের এনে জনগণের অর্থ লুটপাট করছেন। কিন্তু রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর নোংরা কৌশলে ভয় পাচ্ছেন না। দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে নিরলস লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।’’