তৃণমূলের টিকিটে জয়ী শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা (ডান দিকে), বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (বাঁ দিকে)। — ফাইল ছবি।
বীরভূমের দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী লিপিকা মণ্ডল জয়লাভ করেছেন। তিনি সম্পর্কে শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী। যে শিবঠাকুর বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি বর্তমানে তিহাড়ে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা করেছিলেন। তাঁর জয়ে মানুষের অবদানই সবচেয়ে বেশি। জিতে এমন প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন লিপিকা।
জয়ের পর লিপিকা বলেন, ‘‘যাঁরা আমার হয়ে খেটেছেন, তাঁরা খুবই টেনশনে ছিলেন। তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে দেখে খুব ভাল লাগছে। ভগবানের আশীর্বাদ পেয়েছেন, মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি শুরু থেকেই আশাবাদী ছিলাম, সারা জীবন মানুষের পাশে থেকেছি। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তৃণমূল করছি। মানুষ আমাকে বলেছে, তুমি দাঁড়াও। সব সময় মানুষের পাশে থাকব। আজ যা পেয়েছি সেটা মানুষের আশীর্বাদেই। মমতাদি, অভিষেকদার কাছে আমার কৃতজ্ঞতা।’’
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার করতে ইডিকে অনুমতি দিয়েছিল দিল্লিরই একটি আদালত। তার পরেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর। পরের দিনই আদালতে হাজির করিয়ে কেষ্টকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দেড় বছরের পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে দায়ের হওয়া অভিযোগের বয়ান নিয়ে সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও শিবঠাকুর দাবি করেছিলেন, ভয়ে এত দিন অভিযোগ দায়ের করেননি। সেই শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনকাটি, ১৬৫ নম্বর সংসদ থেকে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনি লড়াই করেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর লিপিকা বলেছিলেন, ‘‘দিদিকে ভালবাসি। দল উপযুক্ত মনে করেছে বলে সুযোগ দিয়েছে।’’ জয়ের পর সেই লিপিকার মুখে মানুষের কথা।