Mukutmanipur

আমন চাষের জন্য প্রথম দফার জল ছাড়া হল মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে, খুশি কৃষকেরা

আমন ধান রোপণের মরসুম প্রায় শেষ হয়ে এলেও বৃষ্টির ঘাটতি থেকে গিয়েছে। সে কারণে বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু জমি এখনও অনাবাদী পড়ে রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৪ ২১:৪১
image of dam

মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ছাড়া হল জল। — নিজস্ব চিত্র।

আমন ধান চাষের জন্য প্রথম দফায় জল ছাড়া শুরু করল মুকুটমণিপুর জলাধার। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ৪,২০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। দেরিতে হলেও মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় খুশি বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলি জেলার একাংশের আমন কৃষকেরা।

Advertisement

আমন ধান রোপণের মরসুম প্রায় শেষ হয়ে এলেও বৃষ্টির ঘাটতি থেকে গিয়েছে। সে কারণে বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু জমি এখনও অনাবাদী পড়ে রয়েছে। লাগাতার বৃষ্টি না হওয়ায় রোপণ করা আমন ধানের জমিতেও মাঝেমধ্যে প্রয়োজন হয়ে পড়ছে সেচের। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দিন ধরেই সেচসেবিত এলাকার আমন কৃষকেরা মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার দাবি তুলছিলেন। কিন্তু চলতি বছর বর্ষায় পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি বলে কংসাবতী এবং কুমারী নদীতে জলস্তর আশানুরূপ বৃদ্ধি পায়নি। তার প্রভাবে মুকুটমণিপুর জলাধারের জলস্তরও বৃদ্ধি পায়নি। সেচ দফতরকে কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়েছিল।

সম্প্রতি মুকুটমণিপুর জলাধারের জলস্তরের উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ৪২৩.৭৫ একর ফিটে পৌঁছয়। এর পরই ওই জলাধার থেকে সেচের জন্য জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেচ দফতর। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে লেফট ব্যাঙ্ক ফিডার ক্যানালে প্রায় ৩ হাজার কিউসেক এবং রাইট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানালে ১,২০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। পরে সেচের জলের চাহিদা অনুযায়ী জল ছাড়ার পরিমাণ হ্রাস অথবা বৃদ্ধি করা হবে। সেচ দফতর জানিয়েছে, প্রথম দফায় ২০ দিন এই জল ছাড়া হবে। দ্বিতীয় দফায় ২৩ সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ১৭ অক্টোবর থেকে সেচের জন্য জল ছাড়া হবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় সর্বাধিক ১৫ দিন করে জল ছাড়া হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement