ED Attacked in Sandeshkhali

সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলাকে ‘বোকামি’ বললেন শতাব্দী, তৃণমূল সাংসদের দাবি, এতে ক্ষতি হল দলের

সন্দেশখালির ঘটনার পুরো ঘটনার দায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকেই দেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি জানান, তৃণমূল এমন কাজ কোনও ভাবেই সমর্থন করে না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:০০

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের মার খাওয়া দলের জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক ব্যাপার নয় বলে মনে করছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। যদিও সন্দেশখালিকাণ্ডের পুরো দায় তিনি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের উপরই বর্তেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। দল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।’’

Advertisement

বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী শনিবার রামপুরহাটের বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শতাব্দীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘এই রকমের অ্যাটাক সমর্থনযোগ্য নয়। দল বলেনি এটা করতে। দল এই কাজ সমর্থনও করে না। কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে এটা করে, সেটা তার নিজের দায়িত্বে। এতে দলের কোনও দায় নেই।’’ পাশাপাশি শতাব্দী এ-ও মনে করছেন যে, এই ঘটনায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘অলরেডি বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে। ক্ষতি তো হচ্ছেই। জার্নালিস্টরা মাইক হাতে প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন।’’

বস্তুত, শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা যেমন প্রহৃত হয়েছেন, তেমনই হেনস্থা করা হয় সাংবাদিকদেরও। শতাব্দী সন্দেশখালির পুরো ঘটনাকে ‘বোকামি’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই বোকামিতে খারাপ এফেক্টই হয়।’’ এর পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের। তবে সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখতে চান সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘ওরা রাজনৈতিক ভাবে ইউজ় (ব্যবহার) করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। সেখানে মানুষ হয়তো বিরক্ত হয়ে রিঅ্যাক্ট করেছে। কিন্তু এই রিঅ্যাকশন উচিত নয়।’’

রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে যায় ইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। কিন্তু সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়িতে ইডি আধিকারিকেরা পৌঁছনোর আগেই ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তার মধ্যেও তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁকে ডাকাডাকি করেন ইডি আধিকারিকেরা। ভিতর থেকে সাড়াশব্দ না মেলায় দরজা ভাঙার চেষ্টা হয়। ঠিক সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। এর পর ইডি আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন শাহজাহানের অনুগামীরা। ভাঙচুর চলে গাড়িতে। সেই সময়েই তিন ইডি আধিকারিক জখম হন। শনিবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সন্দেশখালির শাহজাহান বেপাত্তা। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে পারেন শাহজাহান।

Advertisement
আরও পড়ুন