সিউড়িতে সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে গ্রামবাসীরা। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় পানযোগ্য জল মিলছে না। কেউ পাননি সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি। কেউ আবার বর্ষাকালে ভাঙা বাড়ির ছাদ ঢাকতে ত্রিপল চেয়েও পাননি। সাংসদকে কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগের কথা উগরে দিলেন আমজনতা। রবিবার আবার ক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁদের চাহিদা এবং অভাবের কথা বললেন মহিলারা।
সোমবার সিউড়ি-১ ব্লকের নগরী পঞ্চায়েতের বড়গ্রামে যান ভোট প্রচারে যান শতাব্দী। সেই সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, এলাকায় পানীয় জলের বন্দোবস্ত করতে হবে। অনেকে আবাসের বাড়ি পাননি। বর্ষায় ভাঙাবাড়ির ফুটো চাল দিয়ে জল পড়ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস থেকে ত্রিপলও মেলেনি। পাশাপাশি গ্রামের মূল রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে সেই রাস্তা মেরামতের সাংসদ শতাব্দীকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান তাঁরা।
গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর থেকে জেলায় যাতায়াত বেড়েছে সাংসদ শতাব্দীর। তারকা সাংসদকে কাছে পেয়ে সরাসরি নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানাতে দেখে গিয়েছে বাসিন্দাদের। এর আগে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচির প্রচারে এসেও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী। রবিবারের এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অনেকে বললেন জল পাচ্ছেন না। সেটা দেখব। একটার রাস্তার দাবি করেছেন। নদীর সেতুর কথা বলেছেন। সেটা আমাকে জানতে হবে। তার টাকা আমার সাংসদ তহবিল থেকে করা যাবে কি না দেখতে হবে। আমি না জেনেশুনে ‘করে দেব’ বলে প্রতিশ্রুতি দিই না। তা ছাড়া আবাস নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো দেখার নির্দেশ দিয়েছি। তবে একই পরিবারের একাধিক সদস্য সরকারি প্রকল্পে আলাদা আলাদা বাড়ির দাবি করছেন। এই বিষয়টাও দেখতে হবে।’’