Anubrata Mondal

ওটা ফেলে দাও বাবা! জেল থেকে বেরোতেই কেষ্টর পায়ে মেয়ের আনা নতুন জুতো, সকন্যা ফিরছেন বীরভূমে

যে চটি পরে তিহাড় থেকে বেরোলেন কেষ্ট, সেটা চুপচাপ খুলে রাখলেন পাশে। মেয়ের নিয়ে যাওয়া জুতোয় পা গলিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:১৪
(বাঁ দিকে) তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন অনুব্রত মণ্ডল। বদলাচ্ছেন জুতো (ডান দিক)।

(বাঁ দিকে) তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন অনুব্রত মণ্ডল। বদলাচ্ছেন জুতো (ডান দিক)। —নিজস্ব চিত্র।

পরনে হলুদ-ছাই রঙের টি শার্ট আর ট্রাউজার্স। দিল্লির তিহাড় জেলের ৩ নম্বর গেট দিয়ে বীরভূমের ‘ওজনদার নেতা’ অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট) যখন বেরিয়ে এলেন তখন তিনি ‘অন্য রকম’। এক ঝলক দেখেই বোঝা গেল ওজন ঝরেছে কয়েক কেজি। বাবাকে দেখে প্রায় দৌড়ে গেলেন কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বাবার সামনে গিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে এক জোড়া জুতো রাখলেন তিনি। যে চটি পরে তিহাড় থেকে বেরোলেন কেষ্ট, সেটা চুপচাপ খুলে রাখলেন পাশে। মেয়ের নিয়ে যাওয়া জুতোয় পা গলিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। সোমবার রাত ৯টা ৪০মিনিট নাগাদ বাবা-মেয়ে হাত ধরাধরি করে উঠে পড়লেন গাড়িতে। যে গাড়ি সোজা গিয়েছে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সূত্রের খবর, রাতের উড়ানেই নিজের রাজ্যে ফিরছেন কেষ্ট।

Advertisement

গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি থাকার ১৮ মাস পরে কারামুক্তি হয়েছে বীরভূমের কেষ্টর। জামিন পেয়েছেন আগেই। তবে আইনি কাগজপত্র জমা না পড়ায় জেলমুক্তি সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি গরু পাচারে ইডির করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাও। জামিন পাওয়ার পর তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। সোমবার রাতে তিহাড় জেলের তিন নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। তাঁর পরনে ছিল হলুদ-ছাই রঙা টি-শার্ট। বাবাকে জেল থেকে আনতে গিয়েছিলেন মেয়ে সুকন্যা।

২০২২ সালের ১১ অগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি জেলবন্দি ছিলেন। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে তাঁকে রাখা হয়েছিল। পরে ইডির মামলায় তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় কেষ্টকে। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ থেকে তিহাড়েই বন্দি ছিলেন তিনি। আর ২০২৩ সালে গরু পাচার মামলাতেই কন্যা সুকন্যাকেও গ্রেফতার করে ইডি। তার পর দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হয়েছিল পিতা এবং কন্যার। সোমবার একসঙ্গে বাড়ির পথে দু'জন।

Advertisement
আরও পড়ুন