Speed Boat Capsize in Birbhum

বন্যা দেখতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেলেন দুই সাংসদ, এক বিধায়ক, বীরভূমের জেলাশাসক-সহ ১২ জন

বুধবার বীরভূমের লাভপুরে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অন্তত ১৩ জন প্রশাসনিক কর্তা। বীরভূমের লাভপুরের ১৫টি গ্রাম ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। প্রচুর মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
লাভপুর শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৪২
বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে অঘটন।

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে অঘটন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে স্পিডবোট থেকে নদীতে পড়ে গেলেন তিন জনপ্রতিনিধি, বীরভূমের জেলাশাসক-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও এক জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বীরভূমের লাভপুরে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অন্তত ১৩ জন প্রশাসনিক কর্তা। বীরভূমের লাভপুরের ১৫টি গ্রাম ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। প্রচুর মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। ছ’-সাতটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কুয়ে নদীর জল ঢুকছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে স্পিডবোটে রওনা হয়েছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সামিরুল ইসলাম এবং অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ প্রমুখ। যে যে গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত, সেখানকার মানুষের খবরাখবর নিতে যাওয়ার সময় ঘটে বিপত্তি। আচমকা জলের তোড়ে কুয়ে নদীতে স্পিডবোট উল্টে যায়। জলে পড়ে যান পুলিশ সুপার ছাড়া বাকিরা। হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্ধার করতে নামেন স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এক জন বাদে প্রত্যেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সবাই এখন সুস্থ রয়েছেন। তবে ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা এখনই কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

আরও পড়ুন
Advertisement