Deucha Pachami

Deucha Pachami: গণ আন্দোলনের চেষ্টা করছি, আমরা কয়লা খনি চাই না, পাচামিতে বৈঠক করে ঘোষণা মোড়লদের

বৃহস্পতিবার আদিবাসী সমাজের মোড়লদের বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৩৪
হরিণশিঙার মাঠে আদিবাসী সমাজের বৈঠক।

হরিণশিঙার মাঠে আদিবাসী সমাজের বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।

প্রস্তাবিত ডেউচা-পাচামি কয়লা খনি নিয়ে কোমর বাঁধছে তৃণমূল। এই পর্বে বিজেপি ঘনিষ্ঠ আদিবাসী গাঁওতা নেতা সুনীল সোরেনকে দলে টেনে নিয়ে চমক দিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই প্রচেষ্টায় ধাক্কা দিল ডেউচা পাচামিতে আদিবাসী মোড়লদের ডাকা বৈঠক। বৃহস্পতিবার হরিণশিঙার মাঠে হওয়া ওই বৈঠকে কয়লা খনির বিপক্ষেই রায় দিয়েছেন মোড়লরা। প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তা নিয়েই বৃহস্পতিবার আদিবাসী সমাজের মোড়লদের ডাকে হয় ওই আলোচনা সভা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে যোগ দেওয়া এক মোড়ল বলেছেন, ‘‘আজকে আমরা আশপাশের গ্রামগুলির আদিবাসীরা জড়ো হয়েছি। আমরা কয়লা খনির বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের প্রচেষ্টা নিয়ে এগোচ্ছি। সরকার এখানকার মানুষের সঙ্গে কোনও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা কী চাইছি তা জানতে চায়নি। আমরা উচ্ছেদের আশঙ্কা করেছি। আমরা জমি-জায়গা ছাড়তে রাজি নই। আমরা কয়লা খনি চাই না। ওঁর প্যাকেজ ওঁর কাছেই থাক।’’

Advertisement

মহম্মদবাজারের ডেউচা-পাচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ঘোষণা হয়েছে প্যাকেজও।এই আবহেই বৃহস্পতিবার ওই প্রকল্প নিয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সমাজ। সেই মতো বৈঠক হয় মহম্মদবাজারের হরিণশিঙা মাঠে।বেশ কিছু ক্ষণ ধরে বৈঠকের পর কয়লা খনির বিপক্ষেই রায় দিয়েছে আদিবাসী সমাজ। যার অর্থ এ বার ওই প্রকল্প ঘিরে কিছুটা হলেও অনিশ্চয়তা তৈরি হল। মহম্মদবাজারের দেওয়ানগঞ্জ, হরিণশিঙা এবং নিশ্চিন্তপুর মৌজার খান পাঁচেক গ্রাম নিয়ে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা। সেখানে বৃহস্পতিবার আদিবাসী সমাজের মোড়লদের বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন