Kali Puja 2024

দেবীকে ভোগে দেওয়া হয় লালশাক, ক্ষীর, লুচি, দেড়শো বছরেও রীতি বদল করেনি বড়শুলের সিংহ পরিবার

দেবীকে লালশাক, বেগুনভাজা, ক্ষীর, লুচি, চিনি এবং গুড়ের নাড়ু ভোগ হিসাবে দেয় সিংহ পরিবার। কোনও আমিষ পরিবেশন করা হয় না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৯
Sinha family worshipped kali in Boroshul Bardhaman for more than 150 years

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অষ্টধাতুর কালীমূর্তি। উচ্চতা প্রায় এক ফুট। দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বিগ্রহের পুজো করে চলেছে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল শিবতলার সিংহ পরিবার। সেই প্রাচীন কাল থেকেই কালীকে বিশেষ ভোগ নিবেদন করেন তাঁরা। সেই রীতিতে কখনও ছেদ পড়েনি। দেবীকে লালশাক, বেগুনভাজা, ক্ষীর, লুচি, চিনি এবং গুড়ের নাড়ু ভোগ হিসাবে দেয় সিংহ পরিবার। কোনও আমিষ পরিবেশন করা হয় না।

Advertisement

রূপ সিংহ জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের আদিপুরুষ রাজেন্দ্রনারায়ণ সিংহ ছিলেন দ্বারভাঙ্গা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার জিৎপুরের জমিদার। বর্তমানে ডোমকল থানার অধীনে রয়েছে সেই এলাকা। বড়শুলে জমিদার বিজয় দের একমাত্র কন্যা যুগলমোহিনীর সঙ্গে বিয়ে হয় রাজেন্দ্রনারায়ণের। পরবর্তী কালে বিজয় স্থায়ী ভাবে বড়শুল শিবতলায় বসবাস শুরু করেন। সেই সময় দ্বারভাঙ্গা থেকে অষ্টধাতুর কালীমূর্তি বড়শুলে এনে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন রাজেন্দ্রনারায়ণ।

রাজেন্দ্রনারায়ণকে ‘সরস্বতী সিন্ধু’ উপাধি দেন বর্ধমানের তৎকালীন রাজা। রাজেন্দ্রনারায়ণের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সমর সিংহ রীতি মেনেই দেবীর পুজো করতেন। আজও সেই রীতি মেনে হচ্ছে পুজো। সিংহ পরিবারের পুজোয় বলিদান প্রথা নেই। শুধুমাত্র কলা বলি দেওয়া হয়। কথিত রয়েছে, রাজেন্দ্রনারায়ণ তাঁর নিজের পছন্দের খাবারই ভোগ হিসাবে দেবীকে নিবেদন করতেন। আজও সেই প্রথা চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement