রামপুরহাট-কাণ্ডে ধুন্ধুমার বিধানসভায়। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভায় হাতাহাতিতে নাক ফেটেছে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি ভর্তি এসএসকেএমে। অন্য দিকে, এই গন্ডগোলে বিজেপি-র সাত বিধায়ক অসুস্থ হয়েছেন বলে দাবি। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফুলবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
বগটুই-কাণ্ড নিয়ে অশান্তি বিধানসভায়। উত্তেজনা এমন জায়গায় পৌঁছল যে মারপিটে জড়ালেন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা। পুরো ঘটনার জন্য বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি করেছে বিজেপি। পার্থর কটাক্ষ, রাজ্যের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না বিরোধীরা।
১১০টি তাজা বোমা উদ্ধার হল লাভপুরে। সোমবার লাভপুর থানার পুলিশ সাও গ্রামের নদীর পাড়ে উদ্ধার করল দু’ড্রাম ভর্তি বিস্ফোরক। দীর্ঘ দু‘দিন ধরে তল্লাশির পর সোমবারও লাভপুরের সাও গ্রামের নদীর পাড়ে একটি ঝোপ থেকে দুই ড্রাম তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই রাজ্যজুড়ে অবৈধ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কাজে নেমেছে পুলিশ। লাভপুরে কে বা কারা এই বোমা মজুদ করে রেখেছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব স্কোয়াডকে খবর দিয়েছে পুলিশ।
বিধানসভার গন্ডগোল নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী ফিরহাদের কাছে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিনের পাহাড় সফরে রয়েছেন তিনি।
বগটুই-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল বিধানসভা। বিধায়কদের মারপিটে নাক ফাটল চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। ভর্তি হলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, মনোজ টিগ্গাকে সাসপেনড করার প্রস্তাব আনল শাসক দল। তাঁদের সাসপেন্ডের দাবি করেন উদয়ন গুহ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। এর পরে স্পিকার তাঁদের সাসপেন্ড করেন।
A new low for democracy in West Bengal.
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) March 28, 2022
TMC MLAs assaulted BJP MLAs inside the assembly on demanding the discussion on Rampurhat massacre.
Political violence, murders, rapes and appeasement is increasing in Bengal under @MamataOfficial govt with each passing day. pic.twitter.com/Xtmk19Y4p1
সে দিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে মিহিলাল শেখকে রামপুরহাটে অস্থায়ী কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। বগটুই-কাণ্ডে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে মিহিলালের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
বগটুই-কাণ্ডে উত্তাল হল বিধানসভা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। সে সময় শুরু হয় হাতাহাতি। তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা একে অন্যের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন।
রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডের তদন্তে তৃতীয় দিনে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই। ডাকা হতে পারে মৃতের পরিজন মিহিলাল শেখকে। রবিবার সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার সময় ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনিরুল হোসেন দাবি করেন তিনি নির্দোষ। বিরোধীদের ষড়যন্ত্র কাজ করছে। তবে কারও নাম তিনি নেননি।
বগটুই-কাণ্ডে আহত তিন জন ভর্তি রয়েছেন রামপুরহাট হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন একজন মহিলা। নাম নাজমা বিবি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, রামপুরহাটে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন ওই মহিলার শরীরের ৬০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছে। কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাই বীরভূমে পাঠানো হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
অন্য দিকে, সোমবার নিয়ে তৃতীয় দিন ঘটনাস্থলে যাবে সিবিআই। সোমবার মৃতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই। মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তার পর উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র।