Santiniketan

শান্তিনিকেতনে ঐতিহ্য মেনেই সুষ্ঠু ভাবে শেষ পৌষমেলা, জনসমাগমে দক্ষ হাতে রাশ পুলিশের

বিশ্বভারতীর উপাচার্য জানিয়েছেন, মেলায় এত সংখ্যক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাঁরা আপ্লুত। কর্তৃপক্ষের মতে, স্থানীয় অর্থনীতির পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকেও সমৃদ্ধ করেছে এ বারের মেলা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৩
পৌষমেলায় জনসমাগম।

পৌষমেলায় জনসমাগম। ছবি: সংগৃহীত।

চলতি বছরেও ঐতিহ্য ও গৌরব বজায় রেখেই সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হল শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। গত ২৩ ডিসেম্বর বৈতালিক এবং সানাইয়ের সুরে মেলার উদ্বোধন হয়েছিল। ছয় দিন ধরে পর্যটক ও স্থানীয়দের ভিড়ে জমজমাট ছিল শান্তিনিকেতন চত্বর। শেষমেশ শনিবার রাত ১২টার পর মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এ বছর মেলা উপলক্ষে হস্তশিল্পী, স্টল ব্যবসায়ী, হোটেল-রিসর্ট মালিক এবং টোটো-অটোচালকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছিল। এ বারের মেলায় প্রায় সাত লক্ষ মানুষ এসেছিলেন, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি। বিশ্বভারতীর উপাচার্য জানিয়েছেন, এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় এত সংখ্যক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাঁরা আপ্লুত। স্থানীয় অর্থনীতির পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকেও সমৃদ্ধ করেছে এ বারের মেলা। এমনটাই মনে করছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এ বারও মেলার নিরাপত্তা নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ-প্রশাসন। প্রায় সাড়ে পাঁচশো জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে আড়াইশো জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে মেলা সম্পূর্ণ ভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে মেলা শেষ হলেও এখানেই কাজ শেষ নয় প্রশাসনের! শনিবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, জেলাপ্রশাসন এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের মধ্যে একটি জরুরি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে মেলার পরবর্তী কার্যক্রম, যেমন মাঠ পরিষ্কার এবং ভাঙামেলা নিয়ে। বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও।

Advertisement
আরও পড়ুন