Murder

Jhalda Congress Councillor Murder: ঝালদায় কাউন্সিলর খুনে ধৃত মৃতের ভাইপো, হত্যার ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথম গ্রেফতার

রবিবার রাতে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করে দুস্কৃতীরা। অভিযোগ ওঠে, তপনের দাদা নরেন কান্দু এবং ভাইপো দীপকের বিরুদ্ধে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ১২:২৪
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে ধৃত তাঁর ভাইপো দীপক কান্দু ।

ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে ধৃত তাঁর ভাইপো দীপক কান্দু । —নিজস্ব চিত্র।

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার সদ্যজয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরে গ্রেফতার করা হল মৃতের ভাইপো দীপক কান্দুকে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ দীপককে গ্রেফতার করে। বুধবার ধৃতকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হবে। এর আগে দীপককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ।কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। পাশাপাশি তদন্তে সিআইডি-র সাহায্যও নেওয়া হতে পারে। এমনটাই জানা গিয়েছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে।

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপনকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগের আঙুল তোলা হয় তপনের দাদা নরেন কান্দু এবং ভাইপো দীপকের বিরুদ্ধে। খুনে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেও। পর দিন বিকেলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নরেন এবং দীপককে আটক করে। খুনের পর ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্রমশ পুলিশের উপর চাপ বাড়ছিল। কংগ্রেস এবং মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ ওঠে, অভিযুক্তরা শাসকদলের হওয়ার কারণেই তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। এর পর দীপককে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে ঝালদা থানার পুলিশ।

Advertisement

সদ্য শেষ হওয়া পুরসভা নির্বাচনে ঝালদা পুরসভায় দুই নম্বর ওয়ার্ডে ছিল কাকা-ভাইপোর লড়াই। কংগ্রেস প্রার্থী কাকা তপনের কাছে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী দীপক। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হেরে গিয়ে ভাইপো দীপকের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে কাকার উপর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তপনকে খুনের ঘটনায় তাঁর ভাইপোর কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement