রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মলয়
Taldangra BY-Poll

একজোট বিরোধী-ভোট! দেখতে নির্দেশ

রবিবার বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে তালড্যাংরার দলীয় কর্মী-নেতাদের নিয়ে উপনির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেন মলয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৪৯
মলয় ঘটক।

মলয় ঘটক। —ফাইল চিত্র।

তালড্যাংরা উপনির্বাচনে নিচুতলায় বিরোধী-ভোট জোট বাঁধছে কি না, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। দলের বুথ ও অঞ্চল স্তরের নেতৃত্বকে গোটা বিষয়ে কড়া নজর রাখতে নিদান দেন তিনি।

Advertisement

রবিবার বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে তালড্যাংরার দলীয় কর্মী-নেতাদের নিয়ে উপনির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেন মলয়। দলীয় সূত্রে খবর, এমন ‘জোট’ পাকার সম্ভাবনা তৈরি হলে শুরুতেই সেই খবর যাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে কর্মীদের সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে তালড্যাংরা উপনির্বাচনে তৃণমূলের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করছেন কি না, সেই খবর নেন। যা-ই পরিস্থিতি হোক, দলের প্রার্থীর হয়ে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে বলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মলয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিরোধী-ভোট একজোট হয়ে বিজেপিমুখী হয়েছিল। যার ফলে জেলায় আসন হারাতে হয় শাসকদল তৃণমূলকে। এ বছরে লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া আসনে অবশ্য তৃণমূল নিজের ভোট অনেকটাই ফিরে পাওয়ায় বিজেপিকে পরাস্ত করা গিয়েছে। যদিও অল্প ব্যবধানে বিষ্ণুপুর আসন হারাতে হয়েছে। তালড্যাংরা উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। সিপিএম ও কংগ্রেস পৃথক প্রার্থী দিয়ে লড়াই করছে। বিরোধী-ভোট ভাগ হয়ে আখেরে তৃণমূলেরই লাভ হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। তবে অতীতে সিপিএমের ভোটের একটা বড় অংশ বিজেপির ঝুলিতে যেতে দেখা গিয়েছিল। তার মূলে ছিল, নিচুতলায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের একজোট হওয়া। তেমনটা এ বারের উপনির্বাচনেও হতে পারে কি না, চিন্তা রয়েছে শাসকদল।

তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “জেলায় সিপিএম বিজেপিকে ভোট বিক্রি করে বলে সবাই জেনে গিয়েছেন। ফলে ওরা জোট বাঁধল কি না, তা নিয়ে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমাদের প্রার্থীকে সব স্তরের মানুষ সমর্থন করেন। বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব মানুষ তৃণমূলের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেই দেবেন। এ নিয়ে আমরা নিশ্চিত।”

সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, “তৃণমূল আসলে বিজেপিরই ‘বি টিম’। ওই দু’টি দল যে একই, তা আর কারও জানতে বাকি নেই।” বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতির জবাব দিতে মানুষ একজোট হয়েছেন। তাই ওদের হার নিশ্চিত। ভয় দেখিয়ে আর মানুষকে আটকাতে পারবে
না তৃণমূল।”

আরও পড়ুন
Advertisement