Hooliganism

রোগীর পরিজনের মোবাইল চুরি করে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য হাসপাতাল চত্বরে! বাঁকুড়ায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে পাশাপাশি রয়েছে সরকারি নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ট্রেনিং স্কুল। স্কুল ও কলেজের ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে নার্সিং হস্টেল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৮
মোবাইল চুরি করে চম্পট দেওয়ার সময়কার দৃশ্য ধরা পরেছে সিসিটিভিতে।

মোবাইল চুরি করে চম্পট দেওয়ার সময়কার দৃশ্য ধরা পরেছে সিসিটিভিতে। নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনের মোবাইল চুরি করে চম্পট। শেষে তাড়া খেয়ে নার্সিং কলেজ হস্টেল চত্বরে ঢুকে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়। গত ১৮ নভেম্বর রাতের সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। বিষয়টি জানাজানি হতেই হস্টেলের আবাসিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে পাশাপাশি রয়েছে সরকারি নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ট্রেনিং স্কুল। স্কুল ও কলেজের ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে নার্সিং হস্টেল। একই ক্যম্পাসের মধ্যে থাকা দু’টি পৃথক হস্টেলে সব মিলিয়ে আবাসিক পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৭৭ জন। অভিযোগ, ওই হস্টেল চত্বরে গত ১৮ নভেম্বর কয়েক জন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছিল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে হস্টেল চত্বরে কয়েক জনকে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ আসতে আসতে সেখান থেকে পালিয়ে যান আগন্তুকেরা। পরে জানা যায়, এক রোগীর পরিজনের মোবাইল চুরি করে পালিয়ে এসে হস্টেল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে থাকা সিসি ক্যমেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে এবং পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই রাতে মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর পরিজনের মোবাইল চুরি করে চম্পট দিচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে রোগীর পরিবারের লোকেরা তাদের তাড়া করেন। সেই সময় দুষ্কৃতী আত্মরক্ষার জন্য নার্সিং হস্টেল চত্বরে ঢুকে পড়েছিল। সেই ছবিই ক্যমেরাবন্দি হয়েছে। ঘটনার পর নার্সিং হস্টেলের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।’’

হস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন হোক বা রাত, হস্টেল থেকে হাসপাতালে বার বার যাতায়াত করতে হয় আবাসিক নার্সিং পড়ুয়াদের। সে কারণে দুই হস্টেলেরই মূল ফটক ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তারক্ষী নেই। নেই সিসি ক্যামেরাও। ফলে অনায়াসেই হস্টেল চত্বরে প্রবেশ করেছিল দুষ্কৃতীরা।

বাঁকুড়ার সরকারি নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষা লক্ষ্মী পণ্ডিত বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়। ওই দিনই পুলিশ হস্টেল চত্বরে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। আবাসিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হস্টেলের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি রাস্তার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হস্টেল চত্বরে সিসি ক্যমেরা বসানো এবং মহিলা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করারও ব্যবস্থা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement