অনুব্রত মণ্ডল (বাঁ দিকে)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের পাঁচ দিন আগে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আক্ষেপ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল বৈঠকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মাধ্যমে বীরভূমের মানুষকে বার্তা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তাঁর স্নেহের কেষ্টর অভাব অনুভব করছেন তিনি।
গরু পাচার মামলায় গত এক বছর ধরে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। গত বছরের অগস্টে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে গ্রেফতার করে ইডি। আপাতত কেষ্টর ঠিকানা তিহাড় জেল। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর কন্য সুকন্যা মণ্ডলও। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল যে অনুব্রতের অভাব অনুভব করছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট। বীরভূমের তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তথা ভোটারদের উদ্দেশে কয়েকটি কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। জানান, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আর বীরভূমে আসা সম্ভব হচ্ছে না তাঁর পক্ষে। তবে ভোটপর্ব মিটলে অবশ্যই আসবেন। তাঁর কথায়, ‘‘কেষ্ট আজকে নেই। কিন্তু কেষ্ট আমাদের সবার ঘরের ছেলে। ওকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র দেখলেন? বিজেপি (দল) না করলে কোটি কোটি টাকা কোরাপশনে (দুর্নীতি) জড়িত হবেন। আর তাঁরাই যখন বিজেপিতে যাচ্ছেন, তখন সেটা বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাদা হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী যে কোনও পার্টি করলে তাকে ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।’’
মমতা নিজের শারীরিক অবস্থার কথাও বলেন। তিনি জানান, সেবকে যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এখন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন। শুধু পায়ের সমস্যার জন্য এখন তাঁকে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে তিনি বীরভূমে আসবেন। মমতা তাঁর বক্তব্যে বগটুই-কাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘরবাড়ি থেকে চাকরি দেওয়া সবটাই করেছি। মানুষ বিপদে পড়লে তার পাশে দাঁড়়ানো আমাদের কাজ। আমরা সেটা করব।’’ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুরে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি নিজের ফোন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা ছড়িয়ে দেন। বীরভূমের মানুষের উদ্দেশে মমতার বার্তা, খুব শীঘ্র ডেউচা-পাচামি প্রকল্প শুরু হয়ে যাবে। তাতে লক্ষাধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে।