College Students

পরীক্ষায় দেরি, স্নাতকোত্তরে ভর্তি নিয়ে চিন্তা

কলেজের শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, যে পরীক্ষা মে মাসে হওয়ার কথা ছিল সেই পরীক্ষা হচ্ছে জুলাইয়ে! তাহলে কখন ফল প্রকাশ হবে আর কখন স্নাতকোত্তর স্তরে বিশ্ববিদ্যায়গুলিতে ভর্তির সুযোগ পাবে পরীক্ষার্থীরা?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ০৯:০০

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দিন কয়েক আগে ছ’মাস পিছিয়ে স্নাতক স্তরের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করেছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। কেন প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা নিতে এতটা দেরি হল, সেই প্রশ্ন ছিল। এ বার স্নাতক স্তরের (অনার্স ও পাশ) চূড়ান্ত পরীক্ষা বা ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষার সূচি ঘোষণা হতেও মাস দু’য়েকের দেরি হওয়ায় প্রশ্নের মুখে বহু পড়ুয়ার স্নাতকোত্তরে ভর্তি। তবে অগস্টের মধ্যেই ফল বেরিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সোমবারই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পালের তরফে কলেজগুলিতে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের (অনার্স ও জেনারেল) বিভাগের ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষার সূচি বলে দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত।

কলেজের শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, যে পরীক্ষা মে মাসে হওয়ার কথা ছিল সেই পরীক্ষা হচ্ছে জুলাইয়ে! তাহলে কখন ফল প্রকাশ হবে আর কখন স্নাতকোত্তর স্তরে বিশ্ববিদ্যায়গুলিতে ভর্তির সুযোগ পাবে পরীক্ষার্থীরা? পড়ুয়ারাও অভিযোগ করছেন, এর ফলে নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পথ খোলা থাকলেও, স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির সুযোগ কমে গেল। চাকরির পরীক্ষা দেওয়া এবং কাজে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা থাকবে।

এই দেরি নিয়েই সংশয়ে পরীক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা সিইউইটি-র ফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে। এই অবস্থায় দেরিতে পরীক্ষা হলে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয় বলে তাঁদের ক্ষোভ। এক ছাত্রের কথায়, ‘‘ফল প্রকাশে প্রায়ই দু’মাসের বেশি সময় লাগে। তাহলে ভর্তি হলেও বিপাকে পড়তে হবে।’’

সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ষষ্ঠ সিমেস্টারের এক পরীক্ষার্থী বলছেন, ‘‘হায়দরাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা দিয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। অগস্ট থেকে ক্লাস। কিন্ত পরীক্ষার ফল হাতে পেলে তবেই সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাব। দেরিতে পরীক্ষা হচ্ছে বলে সুযোগ হাতছাড়া হবে।’’ আরেক পরীক্ষার্থীর দাবি, ‘‘পঞ্চম সিমেস্টারের ফল সপ্তাহ খানেক আগে পেয়েছি বলে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা) রেজিষ্ট্রেশন পর্যন্ত করাতে পারিনি। গত বারও দেরিতে পরীক্ষা হয়েছিল।’’

এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক শৌভিক দাসবক্সী বলছেন, ‘‘চূড়ান্ত পরীক্ষায় দেরির জন্য এসএফআই স্মারকলিপি দিয়েছিল। তারপরই সূচি ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু তারপরও সমস্যায় পড়তে হবে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এমনটা হচ্ছে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পাল বলেন, ‘‘বীরভূমে কী হয়েছে আমি ঠিক জানি না। তবে সরকারি নিয়ম মতো ৩১ অগস্টের মধ্যেই ফলাফল বের হয়ে যাবে। সুতরাং, পরবর্তী ক্ষেত্রে ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement