Sand Smuggling

আবার ‘সক্রিয়’ বালি পাচার চক্র, নালিশ নানুরে

বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বালি পাচারের সঙ্গে শাসকদলের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী জড়িত রয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নানুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৪
এ ভাবেই বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। হোসেনপুরে।

এ ভাবেই বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। হোসেনপুরে। নিজস্ব চিত্র।

কয়েক দিন আগেই নানুরের পালিতপুর মোড়ের কাছে অজয় নদ থেকে পাম্পের সাহায্যে বালি তুলে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের কিছু নেতা, কর্মীর বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কয়েক জন জড়িয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ ছিল। খবর প্রকাশ্যে আসার পরে ধরপাকড় শুরু করে প্রশাসন। সূত্রের খবর, এর ফলে ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে পড়েন বালি পাচারকারীরা। কিন্তু প্রশাসনের রাশ ‘আলগা’ হতেই ফের তাঁরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ। এ বার স্থানীয় সেনপুর জটাধারী সংলগ্ন এলাকায় পাম্পের সাহায্যে অজয় নদের বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বালি পাচারের সঙ্গে শাসকদলের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী জড়িত রয়েছেন। শুধু নদীর গভীর থেকেই নয়, মালিকদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে নদী লাগোয়া জমির নীচে থেকেও বালি তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই জমির মালিক বলেন, ‘‘যে ভাবে বালি তুলে নেওয়া হচ্ছে, তাতে আমাদের জমি অচিরেই নদীগর্ভে চলে যাবে। তখন পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। এ নিয়ে আপত্তি জানাতে গেলে হুমকি শুনতে হচ্ছে।’’ তাঁরা অবশ্য কেউই পুলিশ-প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি।

বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বোলপুর) সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের দাবি, ‘‘পুলিশ প্রশাসনের কয়েক জন অসাধু কর্মীর সঙ্গে মিলে শাসকদলের নেতা, কর্মীরা অবাধে পাম্পের সাহায্যে বালি তুলে ভূর্গভ ফোঁপরা করে দিচ্ছেন। শুধু জমি নয়, এক দিন বহু জনপদও তলিয়ে যাবে।’’

তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের কেউ বালি পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে জানা নেই। জড়িত থাকলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। দল মাথা ঘামাবে না।’’ বিডিও (নানুর) সন্দীপ সিংহরায় বলেন, ‘‘বালি পাচার রুখতে ধারাবাহিক ভাবে প্রশাসনিক অভিযান হয়। বিএলএলআরও-র সঙ্গে কথা বলে নানুরের হোসেনপুর নিয়েও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement