Buddhadeb Bhattacharjee Death

খরা কাটে তাঁর হাতেই

সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়ের কথায়, বুদ্ধবাবুর স্বপ্ন ছিল রঘুনাথপুরকে দ্বিতীয় দুর্গাপুর করার।

Advertisement
শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল, রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া, রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৪ ১০:০২
২০০৯ সালে পুরুলিয়ার বলরামপুর কলেজ মাঠে প্রকাশ্য জনসভায়।

২০০৯ সালে পুরুলিয়ার বলরামপুর কলেজ মাঠে প্রকাশ্য জনসভায়। নিজস্ব চিত্র।

স্লোগান ছিল— কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। বাস্তবে প্রত্যন্ত জেলায় ‘শিল্পায়নের ভগীরথ’ হয়ে ওঠেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রঘুনাথপুর মহকুমা থেকে বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল তৈরির কাজে গতি এসেছিল তাঁর হাত ধরেই।

Advertisement

কংগ্রেস আমলে রঘুনাথপুর মহকুমার সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়। তার কয়েক দশক পরে রঘুনাথপুরে শিল্পায়নের খরা কাটে বুদ্ধবাবুর হাত ধরেই। পাশে পান প্রয়াত সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে।

সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়ের কথায়, বুদ্ধবাবুর স্বপ্ন ছিল রঘুনাথপুরকে দ্বিতীয় দুর্গাপুর করার। মূলত বুদ্ধবাবুর সময়েই নিতুড়িয়া, সাঁতুড়ি, পাড়া এলাকায় বহু স্পঞ্জ আয়রন করাখানা গড়ে উঠেছিল। যেগুলি এখন ইস্পাত কারখানায় পরিণত হয়েছে।

সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বর্তমান তৃণমূল সরকার রঘুনাথপুরে যে জমি ব্যাঙ্ক আছে বলে দাবি করে, তা বুদ্ধবাবুর তৈরি। তৃণমূলের রঘুনাথপুর শহর সভাপতি বিষ্ণুচরণ মেহেতা বলেন, ‘‘মতাদর্শগত তফাত থাকলেও রঘুনাথপুরে শিল্পায়ন নিয়ে বুদ্ধবাবু, বাসুবাবুর আন্তরিকতা অনস্বীকার্য। এখন সেই শিল্পায়নকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

দলের শ্রমিক সংগঠনের শিল্প-বিরোধী ভাবমূর্তি ঘোচাতেও সক্রিয় ছিলেন বুদ্ধবাবু। পশ্চিমাঞ্চল চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর ঘোষ বলেন, ‘‘তখন বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী। বড়জোড়ায় প্লাস্টিকের আসবাবপত্র তৈরির একটি কারখানা চালুর মাস দুয়েকের মাথায় হঠাৎ নানা দাবিতে শ্রমিক সংগঠন বিক্ষোভ শুরু করে। সে বার দেখেছিলাম আন্দোলন শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ বাহিনী এসে শ্রমিকদের সরিয়ে কারখানা চালু করে। বাম আমলে শ্রমিক আন্দোলনে শিল্পের পক্ষে তার আগে কখনওই পুলিশ প্রশাসনকে এতটা সক্রিয় হতে দেখিনি। আমরা তখনই বুঝে গিয়েছিলাম বুদ্ধদেববাবু এই রাজ্যে শিল্পের জন্য দরকারি পরিবেশ গড়ার পথে অগ্রসর হবেন। উনি সত্যিই একটা আলাদা বিচারধারার মানুষ ছিলেন।”

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা দলের প্রাক্তন বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র জানান, জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের কাজ শুরু হলেও তাতে গতি এসেছিল বুদ্ধদেবের আমলে। মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে নানা সময়ে এসেছেন তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement