Visva-Bharati University

‘উপাচার্য বিজেপি সেজে মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চান’! তৃণমূলের মঞ্চের সামনে থেকে গেরুয়া অনুপমের তির বিদ্যুৎকে

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরার দাবি, আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর উপর বিরক্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৯
Anupam Hazra and Bidyut Chakrabarty

বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (বাঁ দিক থেকে)। —ফাইল চিত্র।

হঠাৎই তৃণমূলের ধর্নামঞ্চের সামনে হাজির বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। মঙ্গলবার রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সমালোচনায় মুখর হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, নিজেকে বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন উপাচার্য। এমনকি, বিদ্যুৎ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করছেন বলেও অভিযোগ করেন অনুপম। তাঁকে শাসকদলের ধর্নামঞ্চে উপস্থিত থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গেও বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়।

Advertisement

সম্প্রতি বিশ্বভারতীর পক্ষে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে শ্বেতপাথরের ফলক বসানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। তার ঠিক নীচে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদ্যুতের নাম রয়েছে। তাতে কবিগুরুর উল্লেখ নেই। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফলক-বিতর্কে সরব তৃণমূল শান্তিনিকেতনে ‘কবিগুরু মার্কেট’-এ ১২ দিন ধরে ধর্না করছে। মঙ্গলবার সেখানে আচমকা হাজির হন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম। ঢুকেই মঞ্চের সামনে থাকা রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করেন। তার পর উপাচার্যের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করেন তিনি। অনুপমের কথায়, ‘‘এই ভিসি (উপাচার্য) ভণ্ড ভিসি। ইনি চেষ্টা করছেন বিজেপি সাজার। যাতে ওঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ে, তাই এই চেষ্টা।’’ অনুপম আরও বলেন, ‘‘উনি বিদ্যুৎ নন। বিশ্বভারতীর বুকে বজ্রবিদ্যুৎ। কারণ, উনি যখন থেকে এসেছেন, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা বন্ধ হয়েছে। উনি বসন্ত উৎসব বন্ধ করেছেন। বোলপুরের মানুষ ওঁর উপর বিরক্ত। উনি নিজে বহিরাগত। না শান্তিনিকেতন সম্পর্কে ওঁর কোনও ধারণা আছে, না শান্তিনিকেতনের কোনও আবেগ বোঝেন। এমন মানুষ শান্তিনিকেতনের বুকে ভাইরাসের মতো।’’

অনুপম দাবি করেছেন, আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুতের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাঁর মেয়াদ আর বৃদ্ধি হবে না। তাঁর সংযোজন, ‘‘ওই উপাচার্য যাওয়ার পর শান্তিনিকেতনকে গোবরজল দিয়ে শুদ্ধ করব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বুঝতে পেরেছে যে, উনি বিশ্বভারতীকে যে ভাবে কালিমালিপ্ত করেছেন, বোলপুরের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন, তাতে ওঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না।’’

তৃণমূলের মঞ্চের সামনে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে অনুপম জানান, তৃণমূল-বিজেপির ব্যাপার নয়। বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ আবেগের নাম। তাই দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ চাইছেন এই উপাচার্য না থাকুন। উল্লেখ্য, অনুপম এক সময় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ ছিলেন। পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন