Birbhum

জেলে কেষ্ট, জেলায় জিন্দাবাদ কর্মীদের

বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ ফ্লেক্সের পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের ছবিও রাখা হয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ০৯:২৯
খোশমেজাজে শতাব্দী রায় ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

খোশমেজাজে শতাব্দী রায় ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

তিনি উপস্থিত নেই। কিন্তু তিনি আছেন। জেলা তৃণমূলে অনুব্রত মণ্ডলের ছায়া এখনও দীর্ঘ।

গরু পাচার মামলায় দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত জেলবন্দি। কিন্তু, শুক্রবার রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে তাঁর নাম নিয়ে উপস্থিত কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করলেন নেতারা। আগামী পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দেখানো পথই অনুসরণ করা হবে বলেও জানানো হল। তাঁর নামে জিন্দাবাদ ধ্বনিও উঠল।

Advertisement

বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ ফ্লেক্সের পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের ছবিও রাখা হয়েছিল। যা দেখে, তৃণমূল কর্মীদের একাংশ আড়ালে এটা ঠিক হয়নি বললেন। কিন্তু বিজয়া সম্মিলনীর আহ্বায়ক সৌমেন ভকত অবশ্য তাঁর স্বাগত ভাষণেই বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের ছচ্ছায়ায় বীরভূমে দলের শক্তিশালী সংগঠন তৈরি হয়েছে। রামপুরহাট শহরেও দলের সংগঠন যথেষ্ঠ মজবুত। আগামী দিনে সেই সংগঠন যাতে মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে পারে, তার জন্য এই বিজয়া সম্মিলনী।’’

শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির মতো দলের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘কেষ্টদাকে সঙ্গে রেখেই সংগঠন চলছে। কেষ্টদাকে ছেড়ে কেউ চালাচ্ছে না। কেষ্টদাকে কেউ ভুলে যায়নি বা কেষ্টদাকে কেউ ছেড়েও যায়নি। কেষ্টদা যে রকম ভাবে ছিলেন, সে রকম ভাবেই আছেন। তিনি এই মূহূর্তে শারীরিক ভাবে সঙ্গে নেই, তবুও তাঁর মতামত নিয়েই দল চলছে।’’

মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল একা হাতে যে দায়িত্ব সামাল দিতেন, আমাদের সেই অভাব পূরণে ঐক্যবদ্ধ এবং সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।’’ দলের মুখপত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ সাংসদ থেকে দলের সমস্ত নেতৃত্ব উপস্থিত থেকে আমরা একটাই বার্তা দিতে চাইছি, বীরভূম জেলাতে অনুব্রত মণ্ডলের উন্নয়নমূলক কাজের যে কর্মযজ্ঞ চালু ছিল, সেগুলি আমরা এক সঙ্গে চালু রাখতে চাইছি।’’

দলের জেলা সভাপতির অভাব বোধ করার কথা বললেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের দেখানো পথেই বীরভূমে আমরা সংগঠন চালিয়ে যাব।’’ অনুষ্ঠানে বিজেপির বিরুদ্ধে সকলেই সুর চড়ান। সকলের মতে, ইডি এবং সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির বাংলাকে দখল করার চক্রান্ত প্রতিরোধ করার জন্য কর্মীদের সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement