জেল থেকে বার করে নিয়ে আসা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হলেন আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়।
অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর এক জন সহযোগীকে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এক জন ইনস্পেক্টর, তিন জন সাব ইনস্পেক্টর এবং ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে দু’টি পাইলট গাড়িও। পাইলট গাড়ির একটি কনভয়ের সামনে এবং অন্যটি পিছনে রয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠানো হয়েছে জেলা হাসপাতালের এক জন চিকিৎসক অমিয়সিন্ধু দাস এবং তাঁর এক জন সহযোগীকে।
কলকাতা নিয়ে গিয়ে অনুব্রতকে প্রথমে জোকা ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হবে বলে আসানসোল সংশোধনাগার সূত্রে খবর। সেখান থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার শংসাপত্র নিয়ে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর পরই তাঁকে নিয়ে আকাশপথে দিল্লি যাওয়ার কথা ইডি আধিকারিকদের। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অনুব্রতের সঙ্গে এক জন চিকিৎসককেও দিল্লি নিয়ে যাবে ইডি। দিল্লি পৌঁছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতকে হাজির করানো হতে পারে।
ইডির করা মামলায় অনুব্রতকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানোর জন্য প্রায় দু’মাস ধরে সময়ে নানা আইনি জটিলতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। শেষমেশ তাঁকে দিল্লি যেতেই হচ্ছে। দিল্লি যাত্রা রুখতে কলকাতা এবংক দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। উচ্চ আদালতে রায়দানের পরেও বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছিল। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সুনির্দিষ্ট আদেশ দেওয়ার পরই অনুব্রতকে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে গেলেন আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
এই একই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি আছেন অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। মনে করা হচ্ছে, অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সহগলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অন্য দিকে সিবিআই অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে সব তথ্য জোগাড় করেছে তা ইতিমধ্যেই আসানসোল সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তথ্যও তদন্তে কাজে লাগতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।