Robbery

বেউর জেলেই লুটের ছক, দাবি

বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি মঙ্গলবার বলেন, “বিহারের জেলে বন্দি ওই দুষ্কৃতী এখানে ডাকাতির পরিকল্পনার ঘটনায় জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। জেলে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”

Advertisement
রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৯

—প্রতীকী চিত্র।

‘গ্যাংস্টার’ সুবোধ সিংহের পরে পটনার বেউর জেলের আর এক বন্দির বিরুদ্ধে স্বর্ণ বিপণিতে লুটের পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠল। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের দাবি, বেউর জেল থেকেই এক বন্দি সম্প্রতি বাঁকুড়া শহরে একটি স্বর্ণ ও হিরের গয়নার বিপণিতে ডাকাতির চেষ্টা করেছিল। ওই বিপণির সামনে থেকে ধৃত দু’জনকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছে বলে দাবি বাঁকুড়া পুলিশের। সেই তথ্য খতিয়ে দেখতে সদ্য বাঁকুড়া পুলিশের একটি দল বেউর জেলে গিয়ে ওই দুষ্কৃতীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছে।

Advertisement

বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি মঙ্গলবার বলেন, “বিহারের জেলে বন্দি ওই দুষ্কৃতী এখানে ডাকাতির পরিকল্পনার ঘটনায় জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। জেলে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই দুষ্কৃতীকে আমরা নিজেদের হেফাজতে নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছি।” পুলিশ সূত্রে খবর, জেল বন্দি ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে খুন-সহ নানা অপরাধের মামলা চলছে। তবে তার নাম প্রকাশ্যে আনতে চায়নি পুলিশ।

বেউর জেল থেকে সম্প্রতি সিআইডি কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে। তার বিরুদ্ধেও জেলে বসেই এ রাজ্যে একাধিক স্বর্ণ বিপণিতে লুটপাটে নেতৃত্ব দেওয়া, খুন, তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশের দাবি, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙার একটি স্বর্ণ বিপণির সামনে ছনা ছয়েক দুষ্কৃতী জড় হয়। সাদা পোশাকের পুলিশ পুলিশ আগে থেকেই তাদের উপরে নজর রাখছিল বলে ডাকাতির ছক বানচাল করা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই দু’জনকে ধরা হয়। চার জন পালায়। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ধৃতেরা বিহারের বাসিন্দা।

তদন্তকারীদের দাবি, হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বেউর জেলে বন্দি এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে চলছিল তারা। ওই বিপণির ছবি তুলে তাকে পাঠিয়েছিল। জেল বন্দি দুষ্কৃতীর নির্দেশ মতোই কাজকর্ম চালাচ্ছিল তারা।

বাঁকুড়া পুলিশ তদন্তে আট জনের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গড়েছে (সিট)। ওই দলের ছ’জন সদ্য বেউর জেলে গিয়ে ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, ওই দুষ্কৃতী বাঁকুড়ায় ধৃতদের মধ্যে এক জনকে চেনে বলে স্বীকার করলেও তার সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে। ডাকাতির বিষয়ে সে কিছু জানে না বলে দাবি করেছে। ওই দুষ্কৃতীর উপরে কেউ রয়েছে কি না,
খতিয়ে দেখছে বাঁকুড়া পুলিশ। রাজ্যের অন্য জেলার স্বর্ণ বিপণিতে ডাকাতির ঘটনাতেও ওই দুষ্কৃতীর
যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে
দেখা হচ্ছে তা-ও।

আরও পড়ুন
Advertisement