Rampurhat

জীর্ণ ঘরে ঝুঁকি নিয়ে কাজ

নিগমের রামপুরহাট মহকুমার অফিসের ফিল্ড অফিসার মনসুর আহমেদ জানান, আগে মহকুমার প্রশাসনিক ভবনের মধ্যে একটি ঘরে অফিস ছিল।

Advertisement
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৪
খসে পড়ছে ছাদের চাঙড়। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের রামপুরহাট মহকুমার অফিসে।

খসে পড়ছে ছাদের চাঙড়। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের রামপুরহাট মহকুমার অফিসে। নিজস্ব চিত্র।

মেলেনি বিকল্প জায়গা। অভিযোগ, তাই প্রয়োজন থাকলেও জায়গা বদল হয়নি ‘পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের’ রামপুরহাট মহকুমার অফিসের। তাই রামপুরহাট মহকুমার প্রশাসনিক ভবন চত্বরে একটি ‘জীর্ণ’ ঘরে প্রাণের ‘ঝুঁকি’ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কর্মীদের।

Advertisement

নিগমের রামপুরহাট মহকুমার অফিসের ফিল্ড অফিসার মনসুর আহমেদ জানান, আগে মহকুমার প্রশাসনিক ভবনের মধ্যে একটি ঘরে অফিস ছিল। বছর পনেরো আগে মহকুমার প্রশাসনিক ভবনের ঢোকার পথে আলাদা একটি ঘরে অফিস স্থানান্তরিত হয়।

মনসুর আহমেদ জানান, এক তলার ওই ঘরটি ক্রমশ জীর্ণ হয়ে পড়ছে। ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ছে। বর্ষায় ছাদ থেকে জল চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে। কর্মীদের পাশাপাশি কাজে আসা লোকজনেরও অসুবিধা হয়।

নিগমের কর্মীরা জানান, রামপুরহাট মহকুমার আটটি ব্লকের কাজ হয় এ অফিসে। প্রতি দিন গড়ে ১৫০-২০০ জন কাজের জন্য আসেন। কিছু দিন আগেই ছাদের পলেস্তারার একাংশ এক মহিলার মাথায় ভেঙে পড়ে। এ ভাবেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের কাজ করতে হয় বলে অভিযোগ কর্মীদের।

কর্মীদের দাবি, চার বছরে একাধিক বার প্রশাসনের কাছে অফিস সরানোর জন্য বলা হয়েছে। তার পরেও বিকল্প ঘর মেলেনি বলে অভিযোগ। রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে বলেন, ‘‘নিগমের বর্তমান অফিস ঘরটি সংস্কারের জন্য আবেদন দফতরের জেলা আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আপাতত কর্মীদের মহকুমা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অন্য একটি ঘরে যেতে বলা হয়েছে। বিকল্প ঘরের জন্যও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন