purulia

‘তোকে আমার চয়েস নাই, রং কালো’, স্ত্রীকে তাড়িয়ে ‘ফর্সা বউ’ নিয়ে ঘরে ঢুকলেন স্বামী

বছর তিনেক আগে পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার বছর বাইশের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পুরুলিয়া মফস্‌সল থানা এলাকার ঘাঘরজুড়ির বাসিন্দা রাজু মাহাতোর। এখন সেই স্ত্রীকে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০২
স্ত্রীকে বাড়িছাড়া করে আবার বিয়ে করলেন স্বামী!

স্ত্রীকে বাড়িছাড়া করে আবার বিয়ে করলেন স্বামী! গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বিয়ের ৩ বছর পর স্বামীর হঠাৎ করে মনে হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করা যায় না। কারণ তাঁর গায়ের রং কালো! এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগও উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শনিবার ওই অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ওই বধূ এর পর পুরুলিয়ার মফস্বল থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি।

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে আড়ষা এলাকার বছর বাইশের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় পুরুলিয়া মফসস্‌ল থানা এলাকার ঘাঘরজুড়ির বাসিন্দা রাজু মাহাতোর। বিয়ের সময় জামাইকে যৌতুক হিসাবে নগদ ৮৫ হাজার টাকা ছাড়াও সোনা এবং রুপোর গয়না দিয়েছিল মেয়ের পরিবার। অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে আর থাকতে চাইতেন না স্বামী। তাঁকে বাড়িছাড়া করে অন্য এক জনকে বিয়ে করেছেন রাজু। নতুন বউকে বাড়িতে তোলার জন্য প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তিনি তাড়িয়েও দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

বাড়িছাড়া হয়ে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবতী। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী আমাকে এখন বলছেন, ‘তোকে আমার চয়েস নাই। তাই আমি রাখব না।’ শ্বশুর-শাশুড়িও বলছেন,‘আমরা তোমার দায়িত্ব নিতে পারব। না তুমি এখান থেকে চলে যাও।’’ একটু থেমে ওই মহিলা আরও বলেন, ‘‘আমার বাবা নেই। বাড়িতে প্রচণ্ড অভাব। আমার ভাইয়েরা আমায় সারা জীবন রাখতে পারবে না।’’

স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত হওয়া ওই মহিলা বলেন, ‘‘স্বামী বাইরে কাজ করেন। বিয়ের পর থেকেই আরও টাকার দাবি করে আমার উপরে অত্যাচার চলত। আমার ভাইয়ের কাছ থেকেও কাজে যাওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন আমার কী হবে? আমি কোথায় যাব? তাই বাধ্য হয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেওয়ার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। বেশ কয়েক বার বেজে যাওয়ার পর ফোন সুইচড্ অফ করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement