নিয়োগপত্রের পথ চেয়ে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা অনেক জ্বালায় শুক্রবার প্রতিশ্রুতির সেই বিজ্ঞপ্তির বর্ষপূর্তি পালন করলেন কেক কেটে! ফাইল চিত্র।
বছর ঘুরে গেল প্রতিশ্রুতির। অথচ নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির দেখা নেই। যদিও এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন গত বছর ৫ মে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বেরোবে খুব তাড়াতাড়িই। নিয়োগপত্রের পথ চেয়ে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা অনেক জ্বালায় শুক্রবার প্রতিশ্রুতির সেই বিজ্ঞপ্তির বর্ষপূর্তি পালন করলেন কেক কেটে!
কলকাতা ময়দানে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউ এসএসসি-এসএলএসটি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি একতা মঞ্চে এ দিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের ছবির সামনে কেক কেটে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রশ্ন, আর ঠিক কত বছর অপেক্ষা করতে হবে?
ঋত্বিকা গায়েন নামে এক কর্মপ্রার্থী জানান, এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের শেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ২০১৬ সালে। তার পরে শিক্ষক নিয়োগের নতুন কোনও বিজ্ঞপ্তি নেই। ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ লক্ষ প্রার্থী বিএড পাশ করে বসে আছেন। ঋত্বিকা বললেন, ‘‘বেসরকারি বিএড কলেজে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা দিয়ে বিএড পাশ করে বসে আছেন অনেকে। অনেকেই বাধ্য হয়ে খুব কম টাকায় বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বা সরকার পোষিত, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে দু’ তিন হাজার টাকায় চুক্তিতে কাজ করছেন।’’
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এক বছর আগে প্রতিশ্রতি-বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, শিক্ষকপদে আবেদনের ফি কত, কবে হবে লিখিত পরীক্ষা, সেই পরীক্ষার নিয়মকানুন কী হবে, শূন্য পদের সংখ্যাই বা কত, সবই খুব তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেওয়া হবে। “কিন্তু এ ভাবে যে বোকা বানানো হবে, ভাবতে পারিনি,’’ বলছেন ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। নতুন বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষক বদলি বন্ধ রেখে নবম থেকে দশমে শূন্য পদ কত, এখন তারই গণনার কাজ চলছে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য আইন চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।