চাকরি ফিরে পেতে পথে এসএসসির চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা। —ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, এসএসসির সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে। এর আগে তাঁরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে শনিবার রাতে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আগামী দিনে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কী ভাবে সেখানে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, চাকরিচ্যুতদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে সকলের মতামত চাওয়া হচ্ছে। ওয়াই চ্যানেলে একটি বাক্স বসিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একটি কাগজে সংশ্লিষ্ট পরামর্শ লিখে ওই বাক্সে ফেলে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। সকল চাকরিহারাকে আন্দোলনে শামিল করতেই এই পদক্ষেপ।
শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। মন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন এবং তাঁদের দাবি অনুযায়ী, যোগ্যদের তালিকা দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন। বৈঠক থেকে বেরিয়েই চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানান, আন্দোলনের পথ থেকে তাঁরা সরছেন না। মন্ত্রীর আশ্বাসে কিছুটা ভরসা পেলেও তাঁদের চিন্তা কমেনি। ১৬ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ভেবেছেন আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর যন্তরমন্তরের সামনে চাকরিহারাদের একাংশ অবস্থানে বসবেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশন আদালতে জমা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ওয়াই চ্যানেলের অবস্থানস্থল থেকে চাকরিহারাদের এক প্রতিনিধি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘প্রত্যেকে সুপ্রিম কোর্টের রায় ভাল করে পড়ুন। যে যে বিষয়গুলি নিয়ে রিভিউ পিটিশন দেওয়া যায় বলে মনে হচ্ছে, সেগুলি কাগজে লিখে ওয়াই চ্যানেলে নিয়ে আসুন। এখানে একটি বাক্স রাখা থাকবে। তার মধ্যে কাগজগুলি ফেলবেন। আমরা সেগুলি নিয়ে আইনজীবীর কাছে যাব।’’ অর্থাৎ, প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁরা অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেননি, তাঁদের কাছ থেকেও পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে।
চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে শহরের অপর প্রান্তে পৃথক কর্মসূচি চলছে। সল্টলেকে সুমন বিশ্বাস, প্রতাপ রানা এবং পঙ্কজ রায় নামের তিন চাকরিহারা প্রার্থী অনশনে বসেছিলেন বৃহস্পতিবার থেকে। শনিবার সুমন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার তাঁরা অনশন তুলে নিয়েছেন। আগামী দিনে কোন পথে তাঁদের আন্দোলন এগোবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ওয়াই চ্যানেলে যাঁরা অবস্থানে রয়েছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের কেউ অনশন করছেন না। অনশনকারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।