পহেলগাঁও কাণ্ডে জড়িত জঙ্গি আসিফের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলায় নাম জড়িয়েছে তাদের। সেই হামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত আসিফ শেখ এবং আদিল ঠোকরের খোঁজ চালাচ্ছে সেনা এবং পুলিশ। দুই জঙ্গির প্রথম জনের বাড়ি ত্রালে। অন্য জন অনন্তনাগের বাসিন্দা। দু’জনের এক জনের বাড়ি বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এক জনের বাড়ি আইই়ডি দিয়ে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলায় পাক জঙ্গিদের মদত দিয়েছিল আসিফ এবং আদিল। স্থানীয় এই দুই জঙ্গির খোঁজ চালাচ্ছে সেনা এবং পুলিশ।
সূত্রের খবর, আসিফ যে এলাকায় থাকে, সেই এলাকাতেই থাকত কয়েক বছর আগে সেনার গুলিতে নিহত লশকর কমান্ডার বুরহান ওয়ানি। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল আসিফ। তিন বছর ‘নিখোঁজ’ থাকার পর আবার কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। তার পর থেকেই চুপচাপ ছিল সে। কিন্তু তলে তলে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল আসিফ। স্থানীয়দের দাবি, পহেলগাঁও কাণ্ডে আসিফের নাম জড়িয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ আঁচ করতে পারেনি জঙ্গিদলে অনেক দিন আগেই নাম লিখিয়েছে সে।
সূত্রের খবর, আসিফ যে এলাকায় থাকে, সেই এলাকায় বছরখানেক আগে এক জঙ্গিকে গুলি করে মেরেছিল সেনা। সেই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ডায়েরিতে আসিফের ছবি পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফেরার পরেও ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিল সে। স্থানীয়দের দাবি, আসিফকে এলাকায় খুব একটা দেখা যেত না।
অন্য দিকে, ২০১৮ সালেই অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল পহলেগাঁও কাণ্ডের আর এক জঙ্গি আদিল। তার পর সেখানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। তার পর তাকে মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে যেতে দেখা যেত। পহেলগাঁও কাণ্ডে নাম প্রকাশ্যে আসতেই আদিলের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় পাক জঙ্গিদের পাশাপাশি আসিফ এবং আদিলের নাম উঠে এসেছে।