Bagdogra Airport

বাগডোগরায় সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস মোদীর, মমতার পরিবর্তে মঞ্চে গৌতম, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

রাজ্যে কলকাতা বিমানবন্দরের পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলেই সেই স্বীকৃতি মিলবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৭
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

রাজ্যে কলকাতা বিমানবন্দরের পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলেই সেই স্বীকৃতি মিলবে। রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই প্রকল্পেরই শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমন্ত্রন পাঠনো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও। তিনি অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগনের মেয়র গৌতম দেব। তাঁকে মঞ্চে দেখেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলা হয় দর্শকাসন থেকে। এর প্রেক্ষিতে পরে গৌতম বলেন, ‘‘আমি পাল্টা জয় বাংলা বলতে পারতাম। কিন্তু এর আগেও দেখেছি, নিতিন গডকড়ীর অনুষ্ঠান যখন শিলিগুড়িতে হয়েছিল, তখনও রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে আমাকে পাঠানো হয়েছিল। তখনও একই ঘটনা ঘটেছিল। এটা রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিষয়। একটা সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের স্লোগান বাঞ্ছনীয় নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ছিলাম। বক্তৃতা করার সুযোগ দিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে রাত্রিকালীন অবতরণ-সহ একাধিক সুযোগ রাজ্যের থেকে করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো বলেছি।’’ এ ছাড়াও ওই ছিলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়িক শিখা চট্টোপাধ্যায়-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু বর্তমান টার্মিনাল ছোট হওয়ায় সেটি সম্প্রসারণের প্রয়োজন ছিল। সেই সঙ্গে আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা তৈরি করারও প্রয়োজন ছিল। তবে তার জন্য দরকার ছিল বাড়তি জমি। যা অধিগ্রহণে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়। অবশেষে রাজ্য সরকার ১০৮ একর জমি দেয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করে। তার পরেই শুরু হতে চলেছে কাজ। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পাবে রাজ্য।

বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য ১,৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা। নতুন টার্মিনাল হবে ৭০,৩৯০ বর্গ মিটার এলাকায়। ফলে ঘণ্টায় প্রায় তিন হাজার যাত্রী থাকতে পারবেন টার্মিনালে। বছরে এক কোটি যাত্রী বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং গড়ে তোলা হবে। ভিআইপি লাউঞ্জেরও পরিসর বাড়ানো হবে। প্রশস্ত করা হবে লবি। বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের পর এ-৩২১ এর মতো বিমান ওঠানামা করতে পারবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ ।

বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে আট হাজার যাত্রী বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে আকাশে ওঠানামা করেন। বিমানবন্দরে থেকে এখন প্রতিদিন গড়ে ৩২ জোড়া বিমান চলাচল করে। গত বছর ১০ লক্ষ যাত্রীতে পৌছে রেকর্ড তৈরি করে বাগডোগরা বিমানবন্দর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় লাউঞ্জ ও লবি ছোট হওয়ায়। এ বার সমস্যা মিটলে আন্তর্জাতিক উড়ানে সমস্যা হবে না।

দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘অনেক কাজ, যেগুলো কোনও না কোন কারণে আটকে ছিল, সেগুলো পূরণ হচ্ছে। বালাসন থেকে সেবক পর্যন্ত রাস্তার কাজ ২০০৯ সাল থেকে আটকে ছিল। সেই কাজও শুরু হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর যথেষ্ট ব্যস্ততম বিমানবন্দর। কিন্তু যে সুবিধে থাকার কথা, সেটা নেই৷ আজ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শিলান্যাস হল। দু’টি পর্যায়ে কাজ হবে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লাভই হবে। নতুন কর্মসংস্থান হবে৷ পর্যটনে আরও সাড়া পড়বে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement