— প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছর প্রাথমিকের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সার্বিক মূল্যায়নের (সামেটিভ) প্রশ্নপত্র করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘স্কুলগুলি নিজেরা প্রশ্ন করলে অনেক সময় প্রশ্নের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পর্ষদ রাজ্যের সব স্কুলের জন্য প্রশ্ন করলে একটা নির্দিষ্ট মান থাকবে। সমস্ত পড়ুয়ার পড়াশোনার মান কেমন, তাদের অগ্রগতি কেমন হচ্ছে তাও পর্ষদ জানবে। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় সামেটিভে পর্ষদ থেকে প্রশ্নপত্র করার পরিকল্পনা করেছি।’’ গৌতমের দাবি, এই প্রথম প্রাথমিক স্কুল স্তরের পরীক্ষায় পর্ষদ নিজে প্রশ্নপত্র তৈরি করছে।
এখন স্কুল স্তরে পরীক্ষাকে তিনটি সামেটিভে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সামেটিভ হবে এপ্রিল মাসের শেষে। দ্বিতীয় সামেটিভ হওয়ার কথা অগস্ট মাস নাগাদ। তৃতীয় সামেটিভ হবে ডিসেম্বর মাসে। তিনটে সামেটিভ নিয়ে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হয়। এতদিন এই সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র স্কুলগুলি নিজেরাই করত।
পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, প্রাথমিক শিক্ষা পড়ুয়াদের ভিত তৈরি করে দেয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, অনেক স্কুল প্রশ্নপত্র তৈরি করার সময়ে তারা যেমন পড়িয়েছে তার উপরেই প্রশ্ন তৈরি করে। তাই রাজ্য জুড়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান কেমন হল তা বোঝা যায় না। পড়ুয়াদের ভিতও অনেক সময় মজবুত হয় না। এই প্রশ্ন তৈরির খরচও পর্ষদ বহন করবে। গৌতম বলেন, ‘‘প্রশ্ন স্কুলে-স্কুলে পৌঁছনোর দায়িত্ব আমাদের। সামেটিভ কবে হবে একটা রুটিনও থাকবে। তবে প্রশ্নের দু’টি সেট করা হবে। কোনও এলাকায় যদি স্থানীয় কারণে স্কুল ছুটি থাকে তাহলে দ্বিতীয় সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেবে ওই পড়ুয়ারা।’’
পর্ষদ জানিয়েছে, প্রথম সামেটিভ হওয়ার পরে দ্বিতীয় সামেটিভের জন্য দ্বিতীয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করবে পর্ষদ। দ্বিতীয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এপ্রিলের শেষেই প্রকাশিত হবে। মে মাস থেকে সেই অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শিক্ষকদের পড়াতে হবে। মে থেকে চার মাস অর্থাৎ অগস্ট পর্যন্ত এই অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি হচ্ছে।
এরপর আবার তৃতীয় সামেটিভের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের তৃতীয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি হবে। এই প্রথম তিন দফায় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি হচ্ছে। প্রতি চার মাসে কোন অধ্যায় কত দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে, পড়ানোর সময়ে কোন অধ্যায়ে কোন কোন বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে তা বিস্তারিত ওই ক্যালেন্ডারে দেওয়া থাকবে। এর ফলে পড়ানোরও একটা নির্দিষ্ট মান থাকবে। সামেটিভ পরীক্ষার জন্য পর্ষদ প্রশ্ন করলে সেই প্রশ্নের উত্তর লিখতে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে।